ন্যাভিগেশন মেনু

স্ত্রী হত্যার ১৪ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


বগুড়ার কাহালুতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা করার দায়ে আব্দুর রাজ্জাক (৪৯) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একাই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুর মো. শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। আসামি আব্দুর রাজ্জাক পলাতক অবস্থায় এ রায় দেয়া হয়।

আব্দুর রাজ্জাক কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার নিহত স্ত্রীর নাম এলেমা বিবি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক তার প্রথম স্ত্রী এলেমা বিবিকে ৪০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ২০০৭ সালে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধের বিষয়টি উঠে আসায় নিহতের বড়ভাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৩ মার্চ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে দেয়া হয়। এ মামলায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর ওই বছরের ১৩ জুলাই চার্জশিট গঠন করে আদালতে জমা দেয়। চার্জশিটে আব্দুর রাজ্জাক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়। সেই মামলায় শুনানি চলছিল। মামলায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন।

পরে দীর্ঘ শুনানির শেষে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুর মো. শাহরিয়ার কবির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। আর অপর অভিযুক্ত মনোয়ারা বিবিকে খালাস দেন।

বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশেকুর রহমান সুজন বলেন, বিচারে এলেমা বিবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ময়নাতদন্তেও একই বিষয় উঠে এসেছে। এসব বিষয়ের আলোকে বিচারক আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে খালাস দেয়া হয়েছে।

সিবি/ওআ