নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০নং ওয়ার্ডের বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির জন্য রবিবার (২৫ এপ্রিল) দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ইরফান সেলিমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।
আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
গত ১৮ মার্চ হাইকোর্ট ইরফান সেলিমকে জামিন দেন। ওই জামিনাদেশের বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ৪ সপ্তাহের জন্য তার জামিন স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
পরে জামিনের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (স্টে ভ্যাকেট) চেয়ে আবেদন করেন ইরফান সেলিম। সেটিও শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার আদালত।
গত বছর ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে নেমে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
গত বছর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছরের এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ওয়াই এ/ওআ
