দেশের উচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৩৪টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৯টি একক বেঞ্চে ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (২০ জুন) থেকে মোট ৫৩টি ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
শনিবার (১৯ জুন) রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বেঞ্চগুলো গঠন করে দেন।
২০২০ সালে দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে আদালতগুলোতে টানা সাধারণ ছুটি চলার একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
পরবর্তীকালে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অধ্যাদেশ জারির পর গত বছরের ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা শুরু হয়।
প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বারজজ আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
এরপর ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিততে আদালতের কার্যক্রম চলে। পরে আবার দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয়।
চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বারজজ আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলে।
এ সময় সপ্তাহে মাত্র তিন দিন আপিল বিভাগ, দুই দিন চেম্বার আদালত এবং প্রথমে দুটি বেঞ্চ, এর পরে সাতটি পর্যায়ক্রমে ১৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তবে গত ১ জুন থেকে সপ্তাহে ৫ দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ, ৩ দিন চেম্বারজজ আদালত ও ২১টি হাইকোর্ট বেঞ্চে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এর পরে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগে ৫৩ বেঞ্চ গঠন করে দেন।
এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব বিচারিক আদালত শারীরিক উপস্থিতিতে চলবে।
সিবি/এডিবি/