ন্যাভিগেশন মেনু

২০২১ সাল থেকে বদলে যাচ্ছে পাঠ্যবই ও শিক্ষাক্রম


প্রাথমিকের শিশুদের বইয়ের বোঝা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিষয়বস্তু (কনটেন্ট)। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিতে বড়ো ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এনসিটিবি বলছে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পর্যাক্রমে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রমের বই হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এদিকে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমে সর্বশেষ পরিবর্তন আনা হয় ২০১৩ সালের শিক্ষাবর্ষে। পাঁচ বছর পরপর পরিবর্তন আনার নিয়ম থাকলেও বাস্তবে পরিবর্তন আসছে আট বছর পর।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে পর্যাক্রমে পরিবর্তিত পাঠ্যবই আসবে। প্রাথমিকের শিশুদের বইয়ের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হবে।’

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘২০২১ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণি, ২০২২ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম ও নবম, ২০২৩ সালে পঞ্চম ও অষ্টম, ২০২৪ সালে একাদশ এবং ২০২৫ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠ্যক্রমের বই পাবে শিক্ষার্থীরা। নতুন পাঠ্যক্রমে কনটেন্ট পড়ার চাপ কমিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হবে।’

বর্তমানে এনসিটিবির পাঠক্রম অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি করে পাঠ্যবই এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি করে পাঠ্যবই পড়তে হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩টি পাঠ্যবই পড়তে হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে ২৭টি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৯টি পাঠ্যবই আছে। তবে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আলাদা আলাদা থাকায় নবম,দশম ও একাদশ শ্রেণিতে সব শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ের বই পড়তে হয় না।

এছাড়াও মাদ্রাসায় ধর্মীয় চারটি বিষয়— কোরআন, আকাইদ ও ফিকাহ, হাদিস এবং আরবির পাঠক্রমেও পরিবর্তন আসছে।

ওয়াই এ / এস এস