ন্যাভিগেশন মেনু

পঞ্চগড়ে অনাবৃষ্টিতে মরিচ চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন


পঞ্চগড়ে অনাবৃষ্টির কারণে মরিচ চাষীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন  হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,  জেলায় এবছর ৮ হাজার ৬শত ৮৭ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও দেশীয় জাতের মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে রয়েছে হাইব্রি, হট মাস্টার, বিজলী, মল্লিকা, বারি১-২, বাঁশ গাইয়া, বালুচরি ও বিন্দু।
এসব জাতের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি ১-২, হাইব্রিড, মাস্টার মল্লিকা ভালো হয়েছে।  

তবে বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের মরিচের ক্ষেতে দিতে না পারায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে।  ফলে অনেক চাষী অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডী  এলাকার মরিচ চাষী আমিরুল ইসলাম বলেন এবছর তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষাবাদ করেছি। আশা ছিল ২০০ থেকে আড়াইশো মন  আঁকা মরিচ (রেড গোল্ড) ফলন পাব।  কিন্তু প্রথম পর্যায়ে পোকামাকড় দমনের  জন্য স্থানীয় বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে "কাপলাল" নামক ঔষধ স্প্রে করার পর অনেক মরিচের গাছে শীস হয়েছে। এসব গাছে কোন ফলন আসেনি। 

এছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এবছর মরিচ চাষাবাদ করে প্রায় দু'লক্ষাধিক টাকার  ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।  এই কৃষকের ভাষ্যমতে এলাকার অনেক চাষী কাপ লাল  ওষুধ স্প্রে করে লোকসানের মুখে পড়েছে।
চাষিরা ক্ষেতের  কাঁচা মরিচ তোলার জন্য প্রতি কেজি ৯ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত শ্রমিকদের দিচ্ছে।  ক্ষেতের মরিচ তোলার জন্য গ্রামের পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশু শ্রমিকরাও কাজ করছে।  

বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি মন শুকনা মরিচ সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক,  কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মতিন বলেন,  এ অঞ্চলের আবহাওয়া ফসল চাষাবাদের উপযোগী। তবে অনাবৃষ্টির কারণে কিছু চাষী মরিচের ফলন কম পেয়েছে । আবার যেসমস্ত  চাষী মরিচ ক্ষেতে পানি সেজ দিয়েছে তারা ভাল ফলন খেতে পেয়েছে । 

তিনি বলেন  কৃষি কি অফিসের সঙ্গে  পরামর্শ না করে  ওষুধ ফসলে স্প্রে  করে চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে "কাপলাল" ওষুধ স্প্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।