ন্যাভিগেশন মেনু

হোসাইন সাজ্জাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
হোসাইন সাজ্জাদ
Apr 06, 2024

ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম

মিশর ভ্রমণ : নীলনদ ও পিরামিডের দেশে

মিশর ভ্রমণ : নীলনদ ও পিরামিডের দেশে

পৃথিবীতে খুব অল্প কিছু স্থান মানুষের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে পেরেছে। মিশর এমন এক রহস্যে ঘেরা আরাধ্য স্থান যেখানে সভ্যতার শুরু হয়েছিল আজ থেকে সাত হাজার বছর আগে এবং ভ্রমণপীপাসুদের কাছে যা সবসময়ই রোমাঞ্চকর।রহস্যের সাথে কিছুটা ভয়ের মিশেলে কল্পনার বাঁধভাঙা কঠিন কিছু নয়। তবে যখন সেখানে পৌঁছানো হয়, তখন সমীহা, আতঙ্ক, কৌতূহল নিবারণের শূন্যস্থানটিতে জমাট বাঁধে ইতিহাস।নীলনদ, ফারাও, পিরামিড, মমি আর প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস বিজড়িত দেশ মিশর।  ভৌগোলিকভাবে, মিশর উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ। তবে এর সিনাই উপদ্বীপ এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত। মিশরের উত্তর-পূর্বদিকে ইসরাইল, দক্ষিণ দিকে সুদান এবং পশ্চিম দিকে লিবিয়া অবস্থিত।মিশর সবচেয়ে বেশি পরিচিত প্রাচীন মিশরীয় নগরায়ন, মিশরীয় শিল্পকলা, হায়ারোগ্লিফিক এবং আরও বেশি পরিচিত এর পিরামিডগুলোর জন্য। এই দেশটি ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মের বিভিন্ন মধ্যযুগীয় ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত। বরাবরই মিশর সারা বিশ্বের ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষনীয় স্থান।তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি, বাস্তব অভিজ্ঞতায় ভ্রমন বই হিসেবে লেখা 'ইজিপ্টনামা'। স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রাচীন মিশরের ইতিহাস সমৃদ্ধ নগরী থেকে বর্তমান সময়ের পরিবর্তনকে চোখে দেখে লেখার কাজটি করেছেন রুম্মান মাহমুদ। রঙ্গিন সচিত্র বর্ণনায় পাঠক হারিয়ে যাবেন মমির দেশে।গীজা থেকে যাত্রা শুরু আলেকজান্দ্রিয়ার পথে, দূরত্ব ২২২ কিমি। নীল নদের পূ্র্বপাড়ে কায়রো আর পশ্চিমে গীজা। পাঠক শুরুতেই জানতে পারবেন কেন মিশরে '৬ অক্টোবর' অথবা '১০ রমজান' নামে শহর, বিশ্ববিদ্যালয় আর হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে। ৬ অক্টোবর দিনটি আরবী ক্যালেন্ডারে ১০ই রমজান হয় বিধায় এরকম নামকরণ। ৬ অক্টোবর সিটি, ১৯৭৩ এর আরব-ইসরাইল যুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াস। একই সাথে লেখকের আফসোস আমাদেরও তো ১৬ ডিসেম্বর শহর নামে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হাসপাতাল থাকার কথা ছিল।রহস্যময় কাটাকম্ব সমাধিস্থলটি ঘুরে দেখার মতো একটি যায়গা। মহাবীর আলেকজান্ডারের নির্দেশে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বীর আলেকজান্ডার মিশর বিজয়ের পর শত্রুপক্ষের ঘোড়াগুলোকেও হত্যা করে এখানে সমাহিত করেছিল। এছাড়াও কায়রোতে খান ই খলিলী মার্কেটে দ্রব্যসামগ্রীর দামের ও মানের বিভন্নতার অনেক বর্ণনা এই বইতে পাবেন পাঠকেরা।ভূমধ্যসাগরের পাড় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা আলেকজান্দ্রিয়া শহর, এ শহরের নামের সাথেই জড়িয়ে আছে মহান বীরের নাম- আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট। খ্রীষ্টপূর্ব ৩৩১ সালে এই  পরাক্রমশালী...


Apr 03, 2024

জাতীয়

''ভাইরাল জান্নাত''-এর স্কুলের পরিচয় নিয়ে 'সংযোগ বাংলাদেশ'-এর প্রধান নির্বাহী সাদিয়া নাসরিনের মিথ্যাচার

''ভাইরাল জান্নাত''-এর স্কুলের পরিচয় নিয়ে 'সংযোগ বাংলাদেশ'-এর প্রধান নির্বাহী সাদিয়া নাসরিনের মিথ্যাচার

মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কে নিজের প্রতিষ্ঠিত স্কুলের শিক্ষার্থী দেখিয়ে মিথ্যাচার করছে ‘সংযোগ বাংলাদেশ’এর প্রধান নির্বাহী সাদিয়া নাসরিন।গত ২৪ মার্চ মহাখালী এলাকার গোডাউন বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়ার পর জান্নাতুল ফেরদৌস (জান্নাত) নামের একটি ছোট মেয়ের ভিডিও গণমাধ্যামে ভাইরাল হয়। সে ওই ভিডিওতে বলে ''সবকিছু পুইরা যাক, আমার মা তো বাইচা আছে, এইডাই বেশী, আর লাগবো না।'' এই ভিডিও সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সে ''ভাইরাল জান্নাত নামে পরিচিতি পায়।এই ঘটনার পরবর্তীতে চ্যানেল আই-এর এক টকশোতে তাকে 'আলোর পথে' স্কুলের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় করানো হয়। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন যে, এটি সুকৌশলে করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জান্নাত মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী, জান্নাতের ক্লাস রোল ০২ ।অনুসন্ধানে জানা যায়, সে একই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। দ্বিতীয় শ্রেণিতে জান্নাতের ক্লাস রোল ৩১ । প্রথম শ্রেণি থেকে সে এই স্কুলের ছাত্রী।মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস-এর নামে নামে তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সনদপত্র ।চ্যানেল আইসহ অন্যান্য বেশ কিছু গণমাধ্যমে জান্নাতকে দেখানো হয়েছে সে 'আলোর পথে কমিউনিটি স্কুল' নামক একটি বেসরকারী এনজিও পরিচালিত স্কুলের ছাত্রী, যা পুরোটাই মিথ্যা।সরেজমিন অনুসন্ধানে জান্নাতের মা শিল্পী বেগম প্রতিবেদকে জানান যে, জান্নাত মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এর নিয়মিত ছাত্রী। এখানে সে তিন বছর যাবৎ পড়াশোনা করছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, 'আলোর পথে' স্কুলে সে একসময় সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করত।প্রমান হিসেবে তিনি প্রতিবেদকে মহাখালি আব্দুল হামিদ দর্জি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এর রেজাল্ট কার্ড এবং স্কুল ড্রেস দেখান। রেজাল্ট কার্ডে জান্নাতের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে, এবং ক্লাস রোল ০২।জান্নাতের সাথে একই স্কুলে পড়ে, তার বাড়ির পাশের আরেকজন ছাত্রীর নামও জান্নাত (৫ম শ্রেণি, ক্লাস রোল ১৭), সে জানায় ''আমি ও ভাইরাল জান্নাত মহাখালি আব্দুল হামিদ দর্জি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ি। আমরা একই সাথে স্কুলে যাই।'' জান্নাতের সাথে পড়ুয়া আরো কয়েকজন সহপাঠীর সাথে প্রতিবেদকের কথা হয়, তাদের বক্তব্যও একই।মহাখালীর গোডাউন বস্তির ভিতরে ব্র্যাক স্কুল ও...


Mar 04, 2024

বিনোদন

মুসাফির রিয়াজের কিশোর পেমের  উপন্যাস ‘হৃদয়ের ছায়াতলে,

মুসাফির রিয়াজের কিশোর পেমের উপন্যাস ‘হৃদয়ের ছায়াতলে,

‘হৃদয়ের ছায়াতলে উপন্যাস, প্রথম প্রকাশিত লেখা হলেও মুসাফির রিয়াজ লেখালেখির জগতে নতুন নয়। স্কুল জীবন থেকেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। গল্প, উপন্যাস কিংবা কাব্যে তিনি সিদ্ধহস্ত। ‘হৃদয়ের ছায়াতলে’  উপন্যাস গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠক সমাজে নিজের আত্মপ্রকাশ করেন ২০২৪ সালের বইমেলায়,  যদিও অগনিত পাঠক রয়েছে তার লেখার।কর্মজীবনে, নানাবিধ ব্যস্ততার ফাকে তিনি তার সাহিত্য সাধনায় অনড়। এবারের বইমেলায় তিনি প্রকাশ তার প্রথম উপন্যাস ‘হৃদয়ের ছায়াতলে’ । উক্ত উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক সমাজের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে ,বাল্যজীবনের স্মৃতি জাগানিয়া এক কোমল প্রেমের সূচনা থেকে পরিনয়ের পাওয়া, হারানোর বেদনাকে  কাব্যিক দৃষ্টিকে তুলে ধরেছেন।উপন্যাসের শুরুতেই পাঠক পরিচিত হবে, নীলিমা হায়দার চৌধুরী ওরফে নীলার সাথে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নীলা। স্কুল পড়ুয়া নীলার ভাল লাগার গল্প আবর্তিত হয় গল্পের নায়ক রাশেদকে কেন্দ্র করে।অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া সবচেয়ে উচ্ছলা, চঞ্চলা, সুন্দরী মেয়টাই হল নীলা। নীলাকে দেখে রাশেদের ভাললাগার একটু অনুভূতি কাজ করে। সুদর্শন ছেলে রাশেদ, ভালবাসার অজানা সমুদ্রে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কৈশোরের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যই এমন। রাশেদ নীলার প্রতি এক গভীর টান অনুভ্ব করে।নীলার মাঝে ভালবাসার সুখ কল্পনায় কেটে যায় রাশেদের রাত-দিন। নীলাকে দেখলে রাশেদ এলোমেলো হয়ে যায়, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় রাশেদ যখন নীলাকে তার সামনে দেখতে পায়। এভাবে কেটে যায় তিন তিনটে বছর। রাশেদের ভালবাসা এখনো জানানো হয়নি নীলাকে।রাশেদ একদিন আবেগের বশে নীলাকে চিরকুট লিখার মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু তার সে প্রয়াস ব্যর্থ হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তি দেন এরকম কাজের জন্য এবং স্কুল থেকে বিতাড়ন করে। এমন পরিস্থিতিতে নীলা এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।নানা মানুষের কটুকথায় নীলা ও একসময় স্কুল ছাড়েন। রাশেদের প্রতি তার মন আনচান করে। গভীর ভালবাসা শুধু কাছেই টানে না ,দূরেও ঠেলে দেয়।নিজের অজানেই  এক সুপ্ত ভালবাসা জন্ম নেয় রাশেদের জন্য। কিছু কিছু বিরহ শুধু দুরেই ঠেলে দেয় না, ভালবাসা আরো বেশি করে বাড়ায়। পাচ বছর কেটে যায় রাশেদ-নীলার কোন যোগাযোগ নেই। এক নির্মম পরিস্থির মধ্যে নীলার অন্যত্র বাগদান হয়ে যায়।এদিকে রাশেদ কোনক্রমেই নীলাকে ভুলতে পারে না। প্রেমের টানে আবার তাদের দেখা হয়।...