ন্যাভিগেশন মেনু

মুসাফির রিয়াজের কিশোর পেমের উপন্যাস ‘হৃদয়ের ছায়াতলে,


‘হৃদয়ের ছায়াতলে উপন্যাস, প্রথম প্রকাশিত লেখা হলেও মুসাফির রিয়াজ লেখালেখির জগতে নতুন নয়। স্কুল জীবন থেকেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। গল্প, উপন্যাস কিংবা কাব্যে তিনি সিদ্ধহস্ত। ‘হৃদয়ের ছায়াতলে’  উপন্যাস গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠক সমাজে নিজের আত্মপ্রকাশ করেন ২০২৪ সালের বইমেলায়,  যদিও অগনিত পাঠক রয়েছে তার লেখার।

কর্মজীবনে, নানাবিধ ব্যস্ততার ফাকে তিনি তার সাহিত্য সাধনায় অনড়। এবারের বইমেলায় তিনি প্রকাশ তার প্রথম উপন্যাস ‘হৃদয়ের ছায়াতলে’ । উক্ত উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক সমাজের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে ,বাল্যজীবনের স্মৃতি জাগানিয়া এক কোমল প্রেমের সূচনা থেকে পরিনয়ের পাওয়া, হারানোর বেদনাকে  কাব্যিক দৃষ্টিকে তুলে ধরেছেন।

উপন্যাসের শুরুতেই পাঠক পরিচিত হবে, নীলিমা হায়দার চৌধুরী ওরফে নীলার সাথে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নীলা। স্কুল পড়ুয়া নীলার ভাল লাগার গল্প আবর্তিত হয় গল্পের নায়ক রাশেদকে কেন্দ্র করে।

অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া সবচেয়ে উচ্ছলা, চঞ্চলা, সুন্দরী মেয়টাই হল নীলা। নীলাকে দেখে রাশেদের ভাললাগার একটু অনুভূতি কাজ করে। সুদর্শন ছেলে রাশেদ, ভালবাসার অজানা সমুদ্রে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কৈশোরের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যই এমন। রাশেদ নীলার প্রতি এক গভীর টান অনুভ্ব করে।

নীলার মাঝে ভালবাসার সুখ কল্পনায় কেটে যায় রাশেদের রাত-দিন। নীলাকে দেখলে রাশেদ এলোমেলো হয়ে যায়, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় রাশেদ যখন নীলাকে তার সামনে দেখতে পায়। এভাবে কেটে যায় তিন তিনটে বছর। রাশেদের ভালবাসা এখনো জানানো হয়নি নীলাকে।

রাশেদ একদিন আবেগের বশে নীলাকে চিরকুট লিখার মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু তার সে প্রয়াস ব্যর্থ হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তি দেন এরকম কাজের জন্য এবং স্কুল থেকে বিতাড়ন করে। এমন পরিস্থিতিতে নীলা এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।

নানা মানুষের কটুকথায় নীলা ও একসময় স্কুল ছাড়েন। রাশেদের প্রতি তার মন আনচান করে। গভীর ভালবাসা শুধু কাছেই টানে না ,দূরেও ঠেলে দেয়।

নিজের অজানেই  এক সুপ্ত ভালবাসা জন্ম নেয় রাশেদের জন্য। কিছু কিছু বিরহ শুধু দুরেই ঠেলে দেয় না, ভালবাসা আরো বেশি করে বাড়ায়। পাচ বছর কেটে যায় রাশেদ-নীলার কোন যোগাযোগ নেই। এক নির্মম পরিস্থির মধ্যে নীলার অন্যত্র বাগদান হয়ে যায়।

এদিকে রাশেদ কোনক্রমেই নীলাকে ভুলতে পারে না। প্রেমের টানে আবার তাদের দেখা হয়। ক্রমেই জড়িয়ে পড়ে তারা এক কঠিন ভালবাসায়; যে ভালবাসা কোন বাধন মানে না, মানে না কোন সামাজিক আচার। বইটি প্রকাশ করেছে, আফসার ব্রাদার্স, বাংলাবাজার , ঢাকা।