ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামে জয় বাংলা কনসার্ট থাকবে নির্দেশনা, অনলাইন নিবন্ধনে টিকেট


ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এবারের জয় বাংলা কনসার্ট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। বিগত বছরগুলোতে এ কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতো।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং ইয়ং বাংলা এর আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা এবং জেলা প্রশাসন, এনএসআই, ডিজিএফআই, পিডিবি, ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), সিআরআই, ইয়ং বাংলা এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

এবারের আসরে থাকবেন আর্টসেল, নেমেসিস, চিরকুটসহ শীর্ষ ব্যান্ড ও শিল্পীরা। কনসার্টটি দেখতে বরাবরের মতই কোনো টাকা লাগছে না। তবে নির্ধারিত সময়ে ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। অনলাইনেই নিবন্ধন হলেই পাওয়া যাবে প্রবেশ টিকেট।
সভায় কনসার্টকে সুশৃঙ্খল এবং কার্যকররুপে পরিবেশনের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে এ কনসার্ট আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং ভৌগলিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এ কনসার্টের জন্য চট্টগ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি এসময় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামে এ কনসার্ট আয়োজন করার জন্য সি আর আই এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, " কনসার্টে অসংখ্য মানুষের সমাগম হবে। নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট হবে মূল চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্মরণে চট্টগ্রামবাসীকে একটি চমৎকার আয়োজন উপহার দেব।

অনুষ্ঠানকে ফলপ্রসূ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

কনসার্ট উপভোগ করার জন্য যেসব নিয়মাবলী মানতে হবে তা নিম্মরুপ—
১. মূল ফটকে টিকিটের প্রাথমিক স্ক্রীনিং হবে, তারপর স্টেডিয়ামের নম্বরযুক্ত গেটে স্ক্যান করা হবে।
২. বারকোড স্ক্যানার দ্বারা পাঠযোগ্য হতে হবে। একটি পঠনযোগ্য বারকোড ছাড়া, ভেন্যুতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৩. গেট দুপুর ১২ টায় খুলবে। একবার অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করলে পুনরায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৪. ১২ (বার) বছরের কম বয়সী শিশুদের অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. বাইরের কোন খাবার বা পানীয় অনুমোদিত হবে না। অনুষ্ঠানস্থলে উপযুক্ত মূল্যে খাবার ও পানি পাওয়া যাবে।
৬. অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে কোন প্রকার তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
৭. ধারণক্ষমতা পূর্ণ হলে আয়োজকরা যেকোনো মুহূর্তে প্রবেশ বন্ধ করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
৮. নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে বিবেচিত হলে আয়োজকরা প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করার বা প্রাঙ্গণ থেকে কাউকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
৯. আয়োজকরা সময়ে সময়ে নিরাপত্তা তল্লাশি চালানোর অধিকার সংরক্ষণ করে এবং শ্রোতাদের অন্যান্য সদস্যদের বিপদ বা বিরক্তির কারণ হতে পারে এমন যেকোনো বিষয় বাজেয়াপ্ত করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
১০. অনুষ্ঠানস্থলে সিসিটিভি ও ক্যামেরা চালু থাকবে। টিকিটধারী শ্রোতাগণ নিজেরা চিত্রগ্রহণ এবং ভিডিও রেকর্ডিং করলে সেখানে কতৃপক্ষের কোন বিধিনিষেধ থাকবে না।
১১. ফোনের ক্যামেরা ব্যতীত অন্য যে কোন ধরণের ক্যামেরা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আয়োজকরা এই জাতীয় আইটেম বাজেয়াপ্ত করার অধিকার সংরক্ষণ করেন। যেমন মোবাইল ফোন চার্জার, হেডফোন, ব্লুটুথ, স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংক।
১২. নিরাপত্তার স্বার্থে অনুষ্ঠানস্থলের ভিতরে ইলেকট্রনিক সিগারেট, ভ্যাপ এবং এই ধরনের কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের অনুমতি দেওয়া হবে না।
১৩. অনুষ্ঠানস্থলের ভিতরে কোনো ধরনের ব্যাগ রাখা যাবে না, ব্যাগ/ব্যাগ বহনকারী ব্যক্তিদের অবিলম্বে প্রাঙ্গণ ছেড়ে যেতে বলা হবে। অনুষ্ঠানে ব্যাগ রাখার কোনো সুবিধা থাকবে না।
১৪. মহিলাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে ১০ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চির চেয়ে বড় পার্স না আনতে। এর চেয়ে বড় কোনো ব্যাগ ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।