ন্যাভিগেশন মেনু

আত্রাই নদীতে বালু উত্তোলনে ব্যাহত হচ্ছে অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ!


নওগাঁয় শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠছে আত্রাই নদী। তবে সমস্যা হলো, অতিথি পাখিদের বিচরণ করা আত্রাই নদী লিজ না দেওয়া ওই অংশ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বিকট শব্দে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাখিরা থাকতে পারছে না।

স্থানীয়দের দাবিতে প্রশাসন মধুবন এলাকায় সরকার ঘোষিত মৎস্য অভয়াশ্রম ও পাখিকলোনির বালুমহল লিজ বন্ধ রাখেন। তারপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় একটি প্রভাবশালী চক্র ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে দিনরাত বালু উত্তোলন করছে। গত কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন।

প্রাণ ও প্রকৃতি সংগঠনের সভাপতি কাজি নাজমুল হক জানান, মধুবন এলাকায় সরকারিভাবে লিজ না দিলেও মোয়াজ্জেম হাজী ভয়ভীতি দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। ফলে, পাখিদের অবাধে বিচরণ অসুবিধা হচ্ছে। তাদের সংগঠন ও স্থানীয়রা দ্রুত এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও তেমন কাজ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হাজী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই অংশ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শত্রুতামূলকভাবে এটিকে পাখিকলোনি ঘোষণা করা হয়েছে।

মহাদেবপুর উপজেলা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা আসমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন আগে সেখানে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিলো। তখন লিজ বহির্ভূত ওই অংশ থেকে বালু উত্তোলন না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার যদি বালু উত্তোলন করা হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্র্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। তারপরও ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ১০ বছর থেকে সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়াসহ শীতপ্রধান দেশ থেকে নওগাঁর মহাদেবপুরের আত্রাই নদীর মধুবন ও কুঞ্জবনসহ কয়েকটি এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে সাড়ালি, পানকৌড়ি ও ডুবরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির বিচরণ। এসব পাখিদের রক্ষায় স্থানীয় প্রাণ ও প্রকৃতি সংগঠনসহ স্থানীয়রা কাজ করছেন।

বিএআর/ ওয়াই এ/এডিবি