ন্যাভিগেশন মেনু

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ


চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।মোহাম্মদ ইউনুছ সিডিএর বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলমের দোভাষ ডলফিনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বুধবার জনপ্রশাসন (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি জানা গেছে।

 প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দেয়া হলো।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ ইউনুছ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব।

সিডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ বিষয়ে মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, 'আমি প্রজ্ঞাপন মাধ্যমে জানতে পেয়েছি। চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।'

তিনি স্কুল পর্যায় থেকে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ১৯৬৮-৬৯ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপল হাই স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালে হন শহর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ নগরীর লালদীঘি মাঠে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোড়ান যে কয়জন ছাত্রনেতা তাদের অন্যতম ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুছ।

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি নৌ-কমান্ডোদের সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরে প্রথম সংঘর্ষের পর রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন ইউনুছ। প্রায় দুই মাস নির্যাতন সহ্য করার পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মোহাম্মদ ইউনুছসহ কয়েকজন পালিয়ে ভারতে চলে যান। গেরিলা প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৬ সালে প্রতিরোধ যুদ্ধ করতে গিয়ে ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন মোহাম্মদ ইউনুছ। ১৯৮০-৮২ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হন ১৯৮৮ সালে। ১৯৭০ সালে ৯ মাস, ১৯৭১ সালে ২ মাস ৬ দিন, ১৯৭৬ সাল থেকে চার বছর মোহাম্মদ ইউনুছ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

তিনি সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগের প্রতিবাদে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের লাগাতার ৪৪৫ দিনের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম দফায় দুই বছরের জন্য সিডিএ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর আবারও তার নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হলে তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দোভাষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডে চার বারের কাউন্সিলর ছিলেন।
এরআগে ছয় দফায় টানা ১০ বছর সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। ছালাম এখন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ।