ন্যাভিগেশন মেনু

জুলাই মাসে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল


ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পর্যন্ত মেট্রোরেল আগামী জুলাই মাসে পরীক্ষামূলক চালু সহ ডিসেম্বরে আগেই চলাচলের জন্য খুলে দিতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড -ডিএমটিসিএল।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএল এমডি এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্ল্যাটফর্মে এক্সিট-এন্ট্রির সহ বৈদ্যুতিক কাজ চলছে। ‘সিপি সেভেন’ যেটিকে বলি, সেটার কাজ চলছে।“স্টেশনভেদে মতিঝিল পর্যন্ত রুটের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের যে দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল, সেখানে আমাদের কাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশের ওপরে। জুলাই মাস থেকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল রুটে পারফরম্যান্স টেস্ট ও ট্রায়াল রান শুরু হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, জনগণের চাহিদা বিবেচনায় আগেভাগেই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনগণ চাইছে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলুক। “আমাদের টার্গেট ছিল ডিসেম্বরের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা। কিন্তু আমরা চাইছি আরেকটু আর্লি কমিশনিং করা যায় কি না সেটি আমরা বিবেচনা করছি।

সেক্ষেত্রে সবগুলো স্টেশন যদি একসঙ্গে চালু করা নাও যায়, তাহলে প্রথম অংশটা যেভাবে আমরা পর্যায়ক্রমে চালু করেছিলাম, সেটা মাথায় রেখে আমরা সেখানে আর্লি কমিশনিং করতে পারব। ট্রেনগুলো জুলাই থেকে সেখানে টেস্ট রান শুরু করুক। এরপর আমরা তারিখ জানাতে পারব বলেও জানান এম ডি।

মতিঝিল পর্যন্ত এই ট্রেন যোগাযোগ চালু হলে যাত্রীও পর্যাপ্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা আর বলেন, “এন্ডিং স্টেশন হিসেবে মতিঝিল ঠিক থাকছে। এরপর টেস্ট রান ও ওসিসির পরিস্থিতি বিবেচনা করে জুলাই থেকে যখন টেস্ট রান শুরু হবে, তখন বুঝতে পারব কোন স্টেশনগুলো খোলা থাকবে।”

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলের সময় আরও ছয় ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দেন এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, “আগামী ৩১ মে থেকে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সেই সাথে মঙ্গলবারের বদলে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার বন্ধ থাকবে মেট্রো রেল চলাচল।”

এসময় এমআরটি লাইন ৬ এর বর্ধিতাংশে কমলাপুর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতির তথ্য দিয়ে  ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, “আমাদের মাটি পরীক্ষা শেষ। আমাদের এখন পাইলিংয়ের কাজ চলছে, পাইল ক্যাপের কাজ চলছে। আমাদের ১৭৬টি পাইল করতে হবে, এর মধ্যে ৩১টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। দুটি পাইল ক্যাপ বসেছে, আগামী সপ্তাহে আরও দুটি হয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকেই যাত্রী চলাচল শুরু হয় দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেনটিতে। পরে ধাপে ধাপে এই পথের মাঝের নয়টি স্টেশন খুলে দেওয়া হয়, বাড়ানো হয় চলাচলে সময়ও।