ন্যাভিগেশন মেনু

বাড়ির ছাদে মিললো কঙ্কাল, হত্যার অভিযোগে মা-ভাই গ্রেপ্তার


বড় ছেলেকে হত্যার অভিযোগে মা ও ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সল্টলেকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ‘গত বৃহস্পতিবার সকালে অনিল মাহেনসরিয়া নামে সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী বিধাননগর (পূর্ব) থানায় তার বড় ছেলে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন। তার দাবি, স্ত্রী গীতা মাহেনসরিয়াই তাদের ছেলে অর্জুন মাহেনসারিয়াকে হত্যা বা গুম করেছেন।’

ব্যবসায়ী অনিল জানান, ‘দাম্পত্য কলহের কারণে সম্প্রতি তারা আলাদা হয়ে গেছেন। বড় ছেলে অর্জুন (২৫), আরেক ছেলে বিদুর (২২) এবং মেয়ে বৈদেহীকে (২০) নিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে থাকতেন গীতা।’

তিনি আরও জানান, ‘গত ২৯ অক্টোবর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাঁচীতে নিজের বাবার বাড়ি চলে যান তার স্ত্রী। কিন্তু পরে খোঁজ নিলে জানা যায়, বিদুর ও বৈদেহী মায়ের সঙ্গে থাকলেও সেখানে অর্জুন নেই। অথচ গীতা ফোনে জানিয়েছিলেন, বড় ছেলেও তার সঙ্গে রয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রীর ওপর সন্দেহ হয় অনিলের। কোথাও অর্জুনের খোঁজ না পেয়ে অবশেষে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।’

তদন্তকারী পুলিশ জানায়, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ। গীতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ওই দম্পতির ছোট ছেলে বিদুরকেও।’

তদন্তকারী পুলিশ আরও জানায়, ‘গীতাকে গ্রেপ্তারে পরেই বৃহস্পতিবার বিকেলে সল্টলেকের এ জে ব্লকের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশির সময় ওই বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে একটি বিছানার চাদরে মোড়ানো কঙ্কাল বের হয়ে যাওয়া এক পূর্ণবয়স্ক মানুষের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ‘কঙ্কালটি কার বা সেটি কতদিনের পুরনো, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমকিভাবে সেটি অর্জুনের বলেই মনে করা হচ্ছে।’

এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জানান, ‘বাড়ির একতলার একটি ঘরে পোড়া দাগ দেখা গেছে। ঘরে যজ্ঞ করলে যে ধরনের পোড়া দাগ তৈরি হয়, ওই দাগটি প্রায় একই ধরনের।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘মাস দুয়েক ধরে তালাবন্ধ রয়েছে বাড়িটি। সেখানে কাউকে যাতায়াত করতে দেখা যায়নি।’

ওয়াই এ/এডিবি