ন্যাভিগেশন মেনু

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় তিন আসামীর ফাঁসি


বগুড়া শহরের নিশিন্দারায় ব্যবসায়ী হজরত আলী মন্ডলকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা মামলার রায়ে ৩ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ আদেশ দেন।

এ মামালায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বগুড়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামসহ ৫ আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা যাবে না।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসূলী আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামী হলেন - বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন ওরফে মারুফ রায়হান (৩৬), নিশিন্দারা আকন্দপাড়ার মহিদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মানিক (২৫), নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মাসুম মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ সাঈদী (২৭)। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বেকসুর খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন - বগুড়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম মন্ডল (৫১), সুলতানগঞ্জ পাড়ার শাওন ওরফে সজীব (২৫), পালসা এলাকার মোহাম্মদ সুজন (৩৮), নিশিন্দারা চকরপাড়ার শাহিনুর রহমান মানিক (২৫) ও কাজিম হোসেন (২৭)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী হজরত আলী মন্ডলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে আমবাগান এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হজরত আলীর মা মেরিনা বেগম বাদি হয়ে ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে ওইদিনই বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সদর থানা পুলিশ। তিনবছরের মাথায় এই রায় প্রদান করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসূলী আবদুল মতিন জানান, ব্যবসায়ী হযরত হত্যা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫ আসামী খালাস পেয়েছেন।

এ এস বি/এস এ /এডিবি