ন্যাভিগেশন মেনু

বাড়ির গেটে ঝুলছে দৈত্যাকৃতি সরীসৃপ!


কর্মস্থল থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন লং চার্নে ই। আচমকা দেখলেন বাড়ির গেট ধরে ঝুলছে একটি দৈত্যাকৃতির সরীসৃপ। ভাবখানা এমন যেন সে এই বাড়ির পাহারাদার!

রাস্তার কুকুরগুলো তাকে দেখে চিৎকার শুরু করলেও কোন ভ্রূক্ষেপ করছিল না সে। বিশালাকার এই সরীসৃপ বাড়ির গেটে ঝুলতে দেখে প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন লং। কিন্তু, তারপর ওই সরীসৃপের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে অনেকগুলি সেলফিও তোলেন।

 এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দৈত্যাকৃতির ওই সরীসৃপকে গেটে ঝুলতে দেখে খুশি হয়নি এলাকার কুকুরগুলি। তাই তাকে গেট থেকে টেনে নামানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে তারা। কিন্তু, সরীসৃপটা আরও উপরে উঠে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। কুকুরগুলিকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজেই মগ্ন ছিল সে।”

টুইটারে ওই সরীসৃপর সঙ্গে নিজের সেলফি পোস্ট করার পরেই ভাইরাল হয় সেটি। নিওম্যান ইন্দ্র কে নামে এক নেটিজেন লেখেন, “স্যার আপনার কাছে কি আমাদের ভগবান ও রক্ষাকর্তা ‘গডজিলা’ সম্পর্কে কথা বলার কোনও সময় আছে?”

 দৈত্যাকৃতির ওই সরীসৃপ কী কারণে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল তা জানা যায়নি। কিন্তু, তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। কেউ কেউ ওই সরীসৃপের দর্শন পাওয়া সৌভাগ্য বলে মনে করলেও বাকিরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৈত্যাকৃতির সরীসৃপগুলি খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে মাঝে মাঝেই জনবসতি এলাকায় চলে আসে। তারপর বাড়ির আবর্জনা ফেলার জায়গায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু, তাদের চোখের ভয়াবহ দৃষ্টিই আতঙ্ক ছড়ায় মানুষের মধ্যে।

মালয়েশিয়ার কৃষি উন্নয়ন ও সমবায় কমিটির চেয়ারম্যান নরিজাম হাসান বাকতে বলেন, “এই ছবিটি বন্যপ্রাণ দপ্তর, জাতীয় পার্ক ও এই সংক্রান্ত এজেন্সিগুলিকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য এখন পাওয়া যায়নি।

তবে আমার মনে এই ছবিটি অন্য কোনও জায়গার। কয়েক দশক আগে কুয়ালালামপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মেলাকা নদী সংলগ্ন জঙ্গলে মনিটর লিজার্ড বা ওই দৈত্যাকৃতির সরীসৃপের দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু, এখন এটা বিরল প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয়েছে।”


এসএস