ন্যাভিগেশন মেনু

'চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পত্তির জন্ম নেওয়া তিন শাবকের নামকরণ'

তিন শাবকের নাম প্রকৃতি, স্রোতশ্বিনী, রূপসী


চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জো বাইডেন-জয়ার সংসারে জন্ম নিলেন তিন শাবক। এসব শাবকের নামকরণ মাধ্যমে পরিচিতি দেওয়া হয়। এসময় তিন শাবক কোলে নিলেন নিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। বাঘের শাবকের নাম হলো- প্রকৃতি, স্রোতশ্বিনী ও রূপসী। নগরীর ফয়েস লেকস্থ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার সংসারে জন্ম নিয়েছে এই ৩টি শাবক।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গেলে বাঘ শাবকগুলোকে জনসম্মুখে আনা হয়।

এ সময় তিনি শাবক ৩টি কোলে নিয়ে এগুলোর নামকরণ করেন- প্রকৃতি, স্রোতশ্বিনী ও রূপসী। জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত সিদ্দিকী, চিড়িয়াখানার সদস্যসচিব ও এনডিসি হুছাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন ও চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা: শুভ উপস্থিত ছিলেন।

বাঘের শাবক দেখতে চিড়িয়াখানায় গিয়ে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু'টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে দু'টি বাঘ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৩টি শাবকসহ মোট বাঘের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে ৫টি বাঘ ও ১২টি বাঘিনী। এখানে সাদা বাঘও রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় দু’টি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দিয়ে দু’টি জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টে সম্মানার্থে সাবেক জেলা প্রশাসক বাঘটির নাম রাখা হয় জো বাইডেন। বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর। বাঘ জো বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা থেকে পরিত্যক্ত হলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালন-পালন করা হয়। এক বছর লালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অবস্থিত বাঘ পরিবারের সাথে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসাবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো সে নিজের সংসার তৈরি করলো। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনঃরায় বাঘ পরিবারের সাথে একত্রিকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা।

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০ একর জমি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলে ছিল, সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে উদ্ধার করে সরকারের দখলে নিয়ে এসেছি। সেখানে আমরা বার্ডস পার্ক করার জন্য পরিকল্পনা করেছি এবং কিছু আমেরিকার ফ্ল্যামিংগোর ওয়ার্কঅর্ডার দিয়েছি, এর বাইরে কিছু পেলিক্যান ও কিছু ম্যাকাও পাখি পাওয়া গেলে চট্টগ্রামে আর্ন্তজাতিক মানের একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ বার্ডস পার্ক করতে পারবো বলে আশা রাখি।