ন্যাভিগেশন মেনু

আজ বিশ্ব বাবা দিবস


বাবা সবার জীবনে বটবৃক্ষের মতো বিশাল ছায়া হয়ে বিরাজ করেন। বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। তবুও মানুষ বছরের একটি দিনকে শুধুই বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। তাই সে দিনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাবা দিবস’। হ্যাঁ, আজ ‘বিশ্ব বাবা দিবস’।

প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় রবিবার সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব বাবা দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। তবে দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে বাবা দিবস পালনের উদাহরণও আছে।

এ দিনটিতে বাবাদের বিভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা জানানো বা স্মরণ করা হয়। হালে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী তাদের প্রিয় বাবাকে নিয়ে ছবি শেয়ার করাসহ বিভিন্ন ভাবে বাবা সম্পর্কে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।

ইউরোপের ক্যাথলিক দেশগুলোতে ১৯ জুন সেইন্ট জোসেফ’স ডেতে বাবা দিবস পালিত হয়ে আসছে সেই মধ্যযুগ থেকে।

ওয়াশিংটনের সোনোরা লুইস স্মার্ট নামের একজন নারী এই দিন উদযাপন শুরু করেন।

লুইস স্মার্টের মা ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। তারপর তার বাবা পরিবারটিকে বড় করে তোলেন। ১৯০৯ সালে সোনোরা গির্জার একটি বক্তব্যে মা দিবসের কথা জানতে পারেন। তখন তার মনে হলো, বাবার জন্যেও এরকম একটি দিবস থাকা উচিত। তারপর তিনি স্থানীয় বেশ কয়েকজন ধর্মযাজক তার এই ধারণাটি শেয়ার করলে তা গ্রহণ করেন তারা। ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। এর ছয় বছর পর ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করেন।

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বাবা-মা দুজনই সন্তানকে লালনপালন করে বড় করে তোলেন। কারও দায়িত্ব কারও চেয়ে কম নয়। আধুনিককালে একক পরিবারে বাবার গুরুত্ব অপরিসীম।

সন্তানের শারীরিক, মানসিক দুই ধরনের বেড়ে ওঠার জন্য বাবা তার সবকিছু উজাড় করে দেন। অনেক বাবা নিজে আধাপেট খেয়েও সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন। সন্তানকে সুস্থ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে বাবা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বাবার আদর্শ, মূল্যবোধ, চিন্তাচেতনা সন্তানের ওপর দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এজন্য বলা হয়ে থাকে - বাবার হাত ধরেই সন্তানের চলতে শেখা। এ চলতে শেখার পাঠ সন্তানকে শিশুকাল থেকেই বাবা দিতে শুরু করেন। সন্তানের মঙ্গলার্থেই বাবার সারা জীবন ব্যয় হয়।

ওয়াই এ/এডিবি/