ন্যাভিগেশন মেনু

আমারা ২০৩০ সালের মধেই যক্ষা শতভাগ নির্মূল করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দেশের কমিউনিটি ক্লিনিককে চিকিৎসাসেবার অনন্য মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গ্লোবাল হেলথ ফোরামের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এছাড়াও কিউবাতে ৭৭টি দেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

শনিবার  (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে, আগামীতে কোন ধরণের মহামারি আসলে তা কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যক্ষার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল দেশ যাতে শতভাগ যক্ষা নির্মূল করতে পারে, সে বিষটি অত্যন্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের দেশে আগের চেয়ে এখন প্রায় ৫০ ভাগ যক্ষা রোগী কমে গেছে। যক্ষার ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য আছে, আমারাও ২০৩০ সালের মধেই যক্ষা শতভাগ নির্মূল করবো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে, আর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি আছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় নয় হাজার রোগী চিকিৎিসাধীন আছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনেরে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এর মধ্যে ইতো মধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিনি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি এবং হাসপাতাল গুলোতে দিয়ে দিচ্ছি।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এছাড়া বেসরকারি ঔষধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেক গুণ বাড়িয়েছে। তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করত পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিমাসে ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজন হলো ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। এখন আর সেই ভাবে হাহাকার ঘাটতি নাই।

আগামী নির্বাচনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ তিনবার ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। এবং সামনেও আশা করি জনগণ তাঁকে নির্বাচিত করবে। আমরা গত ১০ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশের বড় বড় সব প্রকল্পই বাস্তবায়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার পূরণ করেছে।

তিনি বলেন, সরকার করোনা কালীন সময়ে দেশের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে, বিভিন্ন দুর্যোগের সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, খাদ্যের অভাব হয় নাই, পেট্রোলের অভাব হয় নাই।