ন্যাভিগেশন মেনু

আড়াই মাসের মধ্যে ভারতের বাজারে আসছে করোনা ভ্যাকসিন


আর করোনা নিয়ে ভয় নয়। ঘটতে চলেছে অপেক্ষার অবসান। আর মাত্র ৭৩ দিনের মধ্যেই দেশের আম নাগরিকের হাতে বিনামূল্যে চলে আসতে পারে করোনার টিকা।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতে অক্সফোর্ডের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের এক কর্তা। তাঁর দাবি, সেরামের তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের ট্রায়ালের জন্য সরকারের থেকে বিশেষ লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে সংস্থাটি।

এর ফলে মাত্র ৫৮ দিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ হয়ে যাবে। এবং ৭৩ দিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিনটি বাজারে চলে আসবে। আর যেহেতু সাধারণ মানুষের জন্য এই ভ্যাকসিন সরকারই কিনবে, তাই আম আদমিকে এর জন্য পয়সাও খরচ করতে হবে না।

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া । ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর পরই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাটি।

ভারতে তৈরি হতে চলা টিকাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। এই ‘ভ্যাকসিনটি’র প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল আশানুরূপ ফল দিয়েছে। এবার এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা। ২২ আগস্ট ভারতের মাটিতে এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। দেশের মোট ২০টি জায়গায় ১৬০০ মানুষের উপর এই ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সেরামের এক কর্তা জানিয়েছেন, শনিবার চূড়ান্ত ট্রায়ালের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর ঠিক ২৯ দিন বাদে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। তার মোটামুটি দিন পনেরো বাদেই

রিপোর্ট চলে আসবে।

ততদিনে আমরা প্রতিষেধকটি বাজারে আনার প্রস্তুতি শুরু করে দেব। এখন থেকে (শনিবার থেকে) ৭৩ দিন বাদে এই ওষুধটি বাজারে চলে আসবে। এদিকে, ভারত সরকার ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, এই ভ্যাকসিন সেরামের কাছ থেকে সরাসরি সরকার কিনবে। সংস্থাটিকে আগামী বছর জুন পর্যন্ত মোট ৬৮ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে কেন্দ্র।

শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রের উদ্যোগে বিনামূল্যেই হবে আম নাগরিকের টিকাকরণ।

এস এস