সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস করা এক বাঁদর দম্পতি আর পাঁচজন বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর মতোই জীবনযাপন করে বলে জানিয়েছেন, ঐ বাঁদর দম্পতির মালিক পশুপ্রেমী জামিল ইসমাইল।
জামিল জানিয়েছেন, পুরুষ বাঁদরটি যেখানে ছিল, সেই নার্সারিটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় সমস্ত প্রাণীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তখনই মাত্র এক বছর বয়সী কান্দকে বাড়ি নিয়ে আসেন জামিল।
এরপর কান্দের জন্য তার মনের মতো সঙ্গী সাকিকে খুঁজে নিয়ে আসেন জামিল। এই নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর জামিলের বাড়িতে দম্পতির মতোই থাকে কান্দ–সাকি।
পশুপ্রেমী জামিল ইসমাইল জানান, কান্দ আর তার স্ত্রী সাকি একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যায়। বিছানায় শুয়েও পড়ে একসঙ্গে।
প্রথম প্রথম দু’জনেই বাড়ি নোংরা করে রাখত। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে খেয়ে নিত। ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলত। পরে এই বাঁদর দম্পতিকে সমাজের আদব কায়দাও শিখিয়েছেন পশুপ্রেমী জামিল।
যদিও এই কাজে জামিলের চার বছর সময় লেগেছে ।
আরো পড়ুনঃ
সুন্দরবনের আদলে রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ
কান্দ–সাকির জন্য প্রতিবেশীদের কাছেও বকাঝকা শুনতে হয়েছে জামিলকে। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। জামিলের পরিশ্রম কাজে দিয়েছে যা আমরা ইন্টারনেটে দেখতে পাচ্ছি।
এখন কান্দ–সাকি নিজেদের অনেক কাজ করাসহ কাপড় ধোয়া, ঘর গোছানো বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেতে জানে, জানে অনেক আদব-কায়দা। এছাড়া ইন্টারনেটও চালাতে জানে এই স্মার্ট বাঁদর দম্পতি।
ওয়াই এ /এস এস
আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - আজকের বাংলাদেশ পোস্ট