ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে কোরবানি ঈদের আকর্ষণ ‘লালমনি’


লাল রং আর শরীরে ঠাসা মাংশ দেখে গরুটির নাম নাম রাখা হয়েছে ‘লালমনি’। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য কোরবানির হাটে তোলা হবে লালমণিকে। তবে মালিক মনে করছেন, হাটে তোলার আগেই বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে লালমনি বিক্রি হবে।

গরুটির মালিক পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের কোলেরকান্দি বটতলা মোড় এলাকার বাসিন্দা চাউল ব্যবসায়ী মো. মোকাররম হোসেনের ছেলে কলেজছাত্র রেজওয়ানুল হক সুমিত।

ছেলে রেজওয়ানুল হক মালিক হলেও মা সালেহা খাতুন ১০ মাস ধরে গরুটির দেখভাল ও লালনপালন করেছেন।

সুমিত জানান, ‘দশ মাস আগে উপজেলার আওতাপাড়া হাট থেকে গরুটি কেনা হয় ৫২ হাজার টাকায়। এরপর থেকে নিজেদের গোয়াল ঘরে সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন তার মা সালেহা খাতুন। প্রতিদিন তিনি নিয়ম অনুযায়ী খাবার খাওয়ানোসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা দেখভাল করেন।

প্রায় এক বছর ধরে লালন-পালন করতে গিয়ে গরুটির সঙ্গে তার মায়ের আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সন্তানের মতোই তাকে লালন-পালন করছেন। প্রতিদিন গরুটিকে কাঁচা ঘাস, গম, বিভিন্ন ডাল, খড়, ভুট্টা ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। এলাকার মানুষ এভাবে লালমনিকে লালন-পালন করার জন্য তার মায়ের প্রশংসা করেছেন। এটি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো গরু বা পশু তাদের গোয়ালে নেই।

সুমিত বলেন, ‘আসন্ন ঈদ আজহা উপলক্ষে লালমনিকে বিক্রির জন্য হাটে নেওয়ার চিন্তা রয়েছে তার। ইতোমধ্যে অনেকে গরু দেখেছেন, পছন্দ হওয়ায় দামও বলছেন। কিন্তু বিক্রি হয়েও হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর থাকা ও ভালোভাবে যত্ন নেওয়ায় গরুটির শারীরিক গঠন অনেক ভালো। দেখতে সুন্দর এবং মাংশে ঠাসা। লালমণির ওজন ৮ থেকে ১০ মণ হবে বলে সুমিতের ধারণা। এবারের কোরবানি ঈদে ঈশ্বরদীতে তাদের গরুটি সবচেয়ে বড় গরু। এ জন্য গরুটি যে দেখছেন তারই পছন্দ হচ্ছে। লালমনি ২ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা আশা করছেন।

জিএইচ/এমআইআর/এডিবি/