ন্যাভিগেশন মেনু

এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব তথ্য জেনে রাখা জরুরি


নারায়ণগঞ্জের মসজিদে গত শুক্রবার বিস্ফোরণের ঘটনার পর এসি ব্যবহার, গ্যাসের লাইনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হতে দেখা গেছে। প্রায়ই এসি বিস্ফোরণের ঘটনার কথাও শোনা যাচ্ছে। এতে অনেক সময় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সাধারণত যেসব কারণে আগুন লাগে এবং সেসব দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব বিষয়ের দিকে নজর রাখা প্রয়োজন, সেগুলো সবার জেনে রাখা জরুরি।

চলুন জেনে নেয়া যাক এসি বিস্ফোরণের কারণ

১. রুমের লোড অনুপাতে এসি ব্যবহার না করলে। এতে এসিটি অনেকক্ষণ ধরে চলতে হয়, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। তা থেকে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে।

২. নিম্নমানের এসির ভেতরে ফ্যান, তারের, বিদ্যুতের ব্যবস্থাগুলো ঠিক থাকে না। ফলে সেখানেও কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়, যা অনেক সময় আগুনের সূত্রপাত করতে পারে।

৩. এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড়ো কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে কারিগরি ত্রুটির কারণে এসিতে আগুন ধরে যেতে পারে বা এসির গ্যাসে আগুন লেগে সেটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৪. অনেক সময় উইন্ডো এসির সামনে জানালা বা দরজার পর্দা চলে এলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সেটিও এসিকে গরম করে তুলতে পারে।

৫. সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার না করলে।

৬. এসির কনডেনসার এ ময়লা থাকলে কম্প্র্রেসর-এ হাই টেম্পারেচার এবং হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৭. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্র্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।

৮. কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট (refrigerant) চার্জ করলে এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৯. কম্প্রেসর-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।

১০. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।

১১. সঠিক রেটিং এর সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

এসি বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

১. ভালো মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা।

২. এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

৩. কম্প্র্রেসর-এ হাই টেম্পারেচার এবং হাই প্রেশার তৈরি হচ্ছে কি না পরীক্ষা করা।

৪. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না পরীক্ষা করা।

৫. কম্প্র্রেসর-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না তা অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা করা।

৬. কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।

৭. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।

. বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্র্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।

৯. নিম্নমানের অখ্যাত কিংবা নকল ব্র্যান্ডের এসি এবং কম্প্র্রেসর কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

১০. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।

১১. বারান্দা কিংবা খুব কাছে না রেখে ঘরের বাইরে এসি আউটডোর সেট করা।

১২. দীর্ঘদিন পর এসি চালু করার আগে একজন দক্ষ সার্ভিস এক্সপার্ট দিয়ে এসিটি পরীক্ষা করে নেয়া।

ওআ/