ন্যাভিগেশন মেনু

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন

কক্সবাজারে সড়ক মহাসড়কে সক্রিয় সেনাবাহিনী-বিজিবি


কক্সবাজারে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে শুক্রবার (২ জুলাই) সড়কে কিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলতে দেখা গেছে। জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার যানবাহন অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করত দেওয়া হয়নি।

কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। শহরের মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ ও র‌্যাব সার্বক্ষণিক সড়ক ও মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজ সকাল থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে  লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, ‘কক্সবাজার জেলায় ও বিভিন্ন পর্যটন স্পটে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন ও পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে। লকডাউন কার্যকর করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে।’

কক্সবাজার শহরে প্রধান প্রধান মার্কেট ও দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান মুদির দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে।

সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের পাঁচটি টিম লকডাউন কার্যকর করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমুল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছে।

কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন কক্সবাজার জেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৭২ জনকে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এসএএম/এমআইআর/এডিবি/