ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাকে উড়িয়ে জুনেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেকর্ড শতাধিক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: বৈশ্বিক নভেল করোনাভাইরাসকে থোড়াই কেয়ার করে  জুনের এক মাসে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে রেকর্ড গড়েছে ভারত-বাংলাদেশ।

ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় ট্রেনগুলো চলাচল করেছে। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেনে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, ভুট্টা, হলুদ, ধানের বীজ, চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে।

বৈশ্বিক করোনা মহামারি ও লকডাউনের মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে দুই দেশের মধ্যে ট্রেনে পণ্য আনা-নেওয়া বেড়েছে। যেটা দুই দেশের রেলওয়েতে এক মাসে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের রেকর্ড।

ট্রেনে পণ্য সরবরাহের সাফল্য দেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতের মধ্যে পার্সেল ট্রেন সেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে। যাতে ২৩৮ মেট্রিক টন পণ্য বহন হবে।

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ একাধিক ভিডিও কনফারেন্সে রেল মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুই দেশের মধ্যে ট্রেনে পণ্য আনা-নেওয়া সহজীকরণের ব্যাপারে অনুরোধ জানান।

আলোচনার পরে এখন এনবিআর ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে কনটেইনার ট্রেন সেবা সহজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

মাছ রফতানি ত্রিপুরায়: এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে মাছ রফতানি শুরু হয়েছে।

জুলাইয়ে এসে বাংলাদেশ থেকে মাছ রফতানি শুরু হওয়ায় স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রফতানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারক মিয়া জানান, সকাল থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ত্রিপুরায় রফতানি হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ভারতজুড়ে লকডাউন থাকায় ২৪ মার্চ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরায় মাছ রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

এস এস