ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা পরিস্থিতিতেও আবার রেমিট্যান্স, রিজার্ভে রেকর্ড


করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্সে বড় ধরনের রেকর্ড গড়লেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো একমাসে এতো পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।  জুলাই মাসের মাত্র ২৭ দিনেই ২.২৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মাসের শেষে এটি ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রপ্তানি আয় কমার পরও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের সবোর্চ্চ রেকর্ড গড়লো।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত জুন মাসের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং মে মাসের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি ছিল। এখন সেই রেকর্ড ভাঙল চলতি মাসের মাত্র ২৬ দিনেই।

অর্থমন্ত্রণালয় মনে করে, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

রিজার্ভেও রেকর্ড

প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন (২৮ জুলাই পর্যন্ত) ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

গত ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌছেছে ৩৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ডে।

এছাড়া ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১৬ বিলিয়ন ডলার। গত ১ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের আন্তঃপ্রবাহ।

অর্থমন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকারের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে অর্থাৎ যাদের অক্লান্ত পরিাশ্রমে এ অর্জন সেই সব প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

ওআ/