ন্যাভিগেশন মেনু

কলকাতায় গেলে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক


এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও আটটি দেশ থেকে ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে আসবে। তবে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে ফ্লাইট থেকে নামলে যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।  

পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। কোভিড টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলেও পরীক্ষা করতে হবে। তবে যারা করোনা পরীক্ষা করতে চাইবেন না, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হবে। একইভাবে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলেও পাঠানো হবে হাসপাতালে। এয়ার বাবল চুক্তি হচ্ছে, নির্দিষ্ট দুটি গন্তব্যের মধ্যে ফ্লাইট চলবে, মাঝে কোথাও ট্রানজিট করা যাবে না। 

এ চুক্তির আওতায় ভ্রমণ ভিসায় কেউ ভারতে যাবেন, তাদের ভারতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। বর্তমানে কলকাতার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও বতসোয়ানা। 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আকাশপথে পুনরায় যোগাযোগ শুরু হয়েছে গত রবিবার থেকে। এর আগে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় তিন দফায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আকাশপথে চলাচল শুরুর তারিখ পিছিয়ে যায়।শনিবার বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেয়। 

সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মাফিদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব ধরনের যাত্রীর ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা সরকারি কেন্দ্র থেকে সম্পন্ন করতে হবে। দুই দেশের নিয়ম অনুসারে যাত্রীরা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে বিমানের প্রথম ফ্লাইট যাবে। 

করোনা মহামারির মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির আওতায় বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। মহামারিতে ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে চলতি বছরের এপ্রিলে বন্ধ হয় বিমান চলাচল। দুই দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় বেবিচক। এর আগে গত ২৮ আগস্ট বেবিচককে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক চিঠিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তুতির অভাবে সেই দিন প্লেন চলাচল শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আবারো দেশটিকে চিঠি পাঠায়। সবশেষ, প্রায় চার মাস পর বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে প্লেন চলাচলের ঘোষণা দেয়। দিল।

এস এস