ন্যাভিগেশন মেনু

কৃষিখাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ: কৃষিমন্ত্রী


করোনা পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিখাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের স্বার্থে সার,বীজসহ কৃষিখাতে ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে। এছাড়া কৃষি পুনর্বাসনে ১২০ কোটি টাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ ও সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা এবং ফসলে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য প্রদর্শনী স্থাপন ও গ্রহণকরণ বাবদ ৭৫ কোটি টাকাসহ মোট ২০৬ কোটি টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ প্রদান করেছে।

তাছাড়া, অতি সম্প্রতি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও বীজ, সেচ ইত্যাদিসহ কৃষিখাতে সহায়তা বাবদ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। আউশে বীজ ও সার বাবদ ৩৫ কোটি টাকা এবং সেচ বাবদ ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আরও ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়েছেন। যার মাধ্যমে প্রায় ৮শ’টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ৪শ’টি রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি অচিরেই কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতোমধ্যেই সমপরিমাণ কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কৃষিখাতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদান করেছে। এ প্রণোদনার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষি ফার্ম, ফলমূল, মসলাসহ খাদ্য শস্য উৎপাদনে কৃষকগণ যাতে সক্ষম হন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নেত্রকোনাসহ দেশে ৭টি হাওড় এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ, সাবান, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি উপকরণ প্রদান, নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আলাদা গাড়ি, নির্বিঘ্ন গমনাগমন, ধান কাটা স্থলে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সার, বীজ প্রভৃতি বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন আউশ মৌসুমে সেচের ভর্তুকি সর্বোচ্চ ৫০শতাংশ প্রদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পরবর্তী বোরো মৌসুমে কৃষকদের সুবিধার্থে সেচ ভর্তুকি ২০ থেকে ৫০শতাংশে উন্নীত করা হবে।

এ সময় তিনি করোনাকালীন সাধারণ ছুটির সময় কৃষি কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে সকল কর্মকর্তাদের তাঁদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেন। তাঁদেরকে নিয়মিতভাবে মাঠে গিয়ে এই দুর্যোগময় অবস্থায় কৃষকের সাথে, কৃষকের পাশে থাকতে বলা হয়েছে।

এডিবি/