ন্যাভিগেশন মেনু

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হয়ে উপকূলমুখী হচ্ছে


দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বিশাল শক্তি যুগিয়ে ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে। এতে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

যে কারণে আবহাওয়া অফিস পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পুনরায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে পুনরায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আম্পানের ২০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিপদ সংকেত দুটো দেখাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়া দপ্তর এরই মধ্যে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং এসব জেলার সন্নিহিত দ্বীপ-চরের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।

সোমবার (১৮ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাত থেকে বিকেল ও সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশর উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিমির মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটা যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই ধাক্কা সামলাতে করোনা সতর্কতার মাঝেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রয়োজনের তূলনায় কম থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিবি/ এডিবি