ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম বন্দরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের উন্নয়নে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চবক চেয়ারম্যান


চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, নেতৃত্বে বন্দর রিপাবলিক ক্লাব প্রাঙ্গনে শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাধন গ্রহণ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এ সময় চবক এর সকল সদস্য, বিভাগীয় প্রধানগণসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ,অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
পরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহতদের স্বরণে এবং ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’’ বিষয়ে আলোচনা সভা, ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিশেষ অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সম্মানের পাত্র, যতদিন মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবেন ততদিন আমরা তাঁদের সম্মান করব। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, যার কান্ডারী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমরা সকলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে ভালবেসে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে অবদান রাখব। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের উন্নয়নে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের শহিদ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সাহসিকতা ও আত্নত্যাগের কথা উল্লেখ করেন এবং এজন্য চট্টগ্রাম বন্দর স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।  

দিবসটি উপলক্ষ্যে চবক এর আওতাধীন সকল মসজিদ, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও সোয়াত অপারেশনে শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয় এবং বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশন করা হয়। এদিনে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজের ক্যাপ্টেনদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ফ্রুট বাস্কেট ও ফুলের তোড়া প্রদান করা হয়।

এছাড়াও ২৫ মার্চ রাত ১২.০০ ঘটিকায় চবক এ অবস্থানরত সকল জাহাজে এক মিনিট ভেঁপু বাজানো হয় এবং গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে বন্দর সংরক্ষিত এলাকার বাইরে ব্ল্যাক আউট করা হয়।