ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম-১২ আসনের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর দিন থেকে তিন দিনে সাত স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। চট্টগ্রাম -১২ পটিয়া আসনের নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী মাফিয়া চক্র। তার খুঁটির জোর চট্টগ্রামের বাহিরের এক মাফিয়া গড ফাদার। দ্বন্ধের জেরে এ চক্রটি আমাকে প্রতিহত করতে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে ব্যবহার করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে, নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা ঈগলের গাড়িবহরে হামলা ও সহিংস আচরণের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বার বার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। তাকে খন্দকার মোস্তাকের সাথে তুলনা করা যায়। তাকে আমি উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচনে সহযোগীতা করেছি। পটিয়ার অলিগলি, গাঁও-গ্রামের মেঠোপথ চিনিয়েছি। কিন্তু সে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমার পিঠে ছুরি মেরেছে। সে একটি মাফিয়া চক্রের খুঁটির জোরে নৌকা প্রতীক নিয়েছে। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে পটিয়ার কিছু খন্দকার মোস্তাকের অনুসারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। পটিয়ায় দীর্ঘ ১৫ বছরের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা দেখে তাদের ঈর্ষা হয়। তাই তারা আমাকে প্রতিহত করতে উঠেপড়ে লেগছে। আমি হাল ছাড়ার মাঝি নয়। আমি জননেত্রী শেখহাসিনার হুকুমনামা পালন করছি। উৎসব মুখর ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন, গত বুধবার আমি যখন কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা এলাকায় ঈগল প্রতীকে প্রচারণা করতে যায়, মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারী সন্ত্রাসী বাহিনী আমার গাড়িবহরে হামলা, নির্বাচনি ক্যাম্প ভাংচুর, গুলি ও ২০ জন সাধারণ নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, নৌকার প্রার্থীর এমন সহিংস আচরণ ও নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন বন্ধ না হলে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মেদ নবী চৌধুরী,পটিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, বাবু দেব্রত দাশ,বাবু বিজন চক্রবর্তী, নাছির আহমেদ, আবু ছালেহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল হারুন, আলমগীর খালেদ, ওমর সুলতান চৌধুরী, এডভোকেট মোরশেদ চৌধুরী প্রমুখ।