ন্যাভিগেশন মেনু

চলতি বছর ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা অর্থমন্ত্রীর


চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা  কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থবছরে আমাদের বাজেটের আকার যেটা রয়েছে সেখানে আমাদের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আমরা বিশ্বাস করি এটি অর্জন করতে পারব। আপনারা জানেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সব সময় এ বিষয়ে একটু অন্যরকম। তবে ভালো খবর হলো আমরা ৭.২ অর্জন করতে পারব। আমরা যদি কাছাকাছি সময় দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাই প্রতিটা খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি আছে। ভালোভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি। আমাদের এক্সপোর্টও বেড়েছে। এক্সপোর্টে যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি হয়েছে।

জনশুমারি প্রকল্প ফেরত দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে তৈরি করা জিনিস আমরা ব্যবহার করতে চাই। সেজন্য আমরা সময় বেশি নিচ্ছি। কারণ মেইড ইন বাংলাদেশ ইজ অ্যা কনসেপ্ট, ইজ অ্যা ফিলসপি। আপনাকে বুঝতে হবে আগামী ৫০ বছরকে সামনে রেখে আমরা কিন্তু এ ধরনের ফিলোসপি ধারণ করছি। আমরা আমদানি করে আনলে সহজেই করা যায়। কিন্তু আমরা ইম্পোর্টেড প্রোডাকশন দেখতে চাই না।

মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের দেশে যারা সক্ষম এগুলো তৈরির জন্য তাদের সুযোগ দিতে হবে। সেজন্যই সময় বেশি লাগছে। যাতে করে ভুল ভ্রান্তি না হয় সেটি দেখা। দেশীয় কোম্পানিকেই দিতে চাচ্ছি, আমরা চাই যেসব জিনিস দেশে তৈরি হয়, সেসব বিদেশিগুলো কম ব্যবহার করব। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা দেখতে চাই আমরা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিভিন্ন দেশে রোড শো করছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, রোড শো'র আউটকাম তো আছেই। রোড শো করার সঙ্গে সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ হয় বলে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি রোড শোর একটি কার্যকারিতা আছে। সারাবিশ্বের মানুষের আগে যে ধারনা ছিল সেটি এখন থাকবে না। এখনেও বিশ্বের মানুষ মনে করে আমাদের যে অগ্রগতি, অর্জন এটা বিস্ময়ের বিষয়। এটা বিস্ময়ের বিষয় নয়, বাস্তবতা। আমি মনে করি আমরা ঠিক জায়গায় আছি।