ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরে তেঁতুল কাঠের খাইট্যা’র কদর বাড়ছে


ঈদুল আজাহায় কোরবানি করা পশুর মাংস প্রক্রিয়াজাত করার অন্যতম অনুষঙ্গ কাঠের খাইট্যা বা 'খাইটে'। ঈদ অত্যাসন্ন হওয়ায় কাঠের খাইট্যা তৈরি ও বিক্রিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাটমোহরের মৌসুমী খাইট্যা ব্যবসায়ীরা। সারাবছর টুকটাক বিক্রি হলেও ঈদুল আজহায় খাইট্যার কদর বাড়ে সবচেয়ে বেশি।

মাংসের পাশাপাশি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য পশুর হাঁড় কাটার জন্য কাঠের খাইট্যা অত্যাবশ্যক। তাই পৌরসদরসহ চাটমোহরের অন্যান্য এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী, মিস্ত্রিরা খাইট্যা তৈরি করে রাস্তার পাশে দোকানগুলোর সামনে রেখে দিচ্ছেন। সেখান থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দমাফিক খাইট্যা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া, নতুন বাজার, জার্দিস মোড়, হারান মোড়, বাসস্ট্যান্ড, হরিপুর, রামনগর, মথুরাপুর ও রেল বাজারে বেশি খাইট্যা বিক্রি হয়।

পৌর সদরের নতুন বাজার এলাকার কাঠব্যবসায়ী মতিন সরদার জানান, 'প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা তেঁতুল গাছের গুড়ি কেটে খাইটে তৈরী ও বিক্রি করি। প্রতিটি খাইটে আকার ভেদে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। পাইকাররা কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করে। এ বছর করোনার প্রভাবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় খাইটে বিক্রি কম হচ্ছে।'

দোলং গ্রামের মিলন হোসেন জানান, 'তেঁতুলের খাইটেতে পশুর হাড় ও মাংস কাটলে মাংসের মান ভালো থাকে। একবার কিনলে অনেক বছর এটি ব্যবহার করা যায়। গতকাল আমি ৩৫০ টাকায় মাঝারি আকারের একটি তেঁতুল কাঠের খাইটে কিনেছি। আশা করছি এটি কয়েক বছর ব্যবহার করতে পারবো।'

আইকেআর/সিবি/এডিবি/