ন্যাভিগেশন মেনু

চালের দাম কমেছে


মহামারী করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। চাহিদা কমায় এই দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

শনিবার ( ২৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা।

এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও চিকন ও মাঝারি চালের দাম কমার তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, চিকন চালের দাম ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও মাঝারি চালের দাম ৩ শতাংশ কমেছে। তব মোটা চলের দাম ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৬৮ টাকা। মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। এক মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মোটা চালের দাম বেড়ে ৩৮ থেকে ৪৮ টাকা হয়েছে।

খিলগাঁও তালতলার চাল ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই চাল বিক্রি বেড়ে যায়। এতে দামও বাড়ে। এরপর বিক্রি কমলে মাঝে দাম কিছুটা কমে। তবে রোজার আগে আবার চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে যায়। নতুন চাল আসায় ঈদের পর আবার দাম কমে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবার চালের দাম বেড়ে যায়। এখন চাহিদা কমায় আবার চালের দাম কমেছে। এখন ব্যবসায় মন্দা চলছে। দুদিন ধরে তেমন একটা বিক্রি হয়নি।

রামপুরার ব্যবসায়ীরা বলেন, সপ্তাহ দুই আগে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল। তবে এখন আবার মিনিকেট, নাজির, পাইজাম ও লতা চালের দাম কমেছে। ৫৮ টাকা কেজি বিক্রি করা মিনিকেট চাল এখন ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আটাশ চালের দামও কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। আমাদের ধারণা, বাজারে নতুন চালের সরবরাহ বাড়ায় এই দাম কমেছে। এখন বন্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে চালের দাম আবার বেড়ে যেতে পারে।

ওআ/