ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


দিনাজপুরে আবু সালাম মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ফাহমিদা বেগম (৩৮) ও প্রেমিক শ্রী মানিক রবিদাস ওরফে মানিক চন্দ্র দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টায় দিনাজপুর জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা এই আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফাহমিদা বেগম পার্বতীপুর থানার ভবানিপুর ঘাসিপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ প্রামাণিকের মেয়ে এবং মানিক রবিদাস একই এলাকার মৃত সুশীল রবিদাসের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত আবু সালাম মোল্লা পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী এবং পার্বতীপুর রিফুজি মার্কেটে বাড়ি সংলগ্ন তার মুদি দোকান। ২৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে ফাহমিদা বেগমের সাথে তার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মুদি দোকানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন মানিক চন্দ্র রবিদাস। এক পর্যায়ে ফাহমিদার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন।

বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে শাসনও করেন আবু সালাম। মানিক চন্দ্র রবিদাস এ নিয়ে আবু সালামকে হত্যার হুমকিও দেন।

২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর ভোরে ফাহমিদা বেগম ও মানিক চন্দ্র রবিদাস পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি আবু সালামের শয়নকক্ষে গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আবু সালামের বড় ভাই আবু হোসেন মোল্লা ফাহমিদা ও মানিক চন্দ্র রবিদাসকে আসামী করে পার্বতীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলে তারা পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে আদালতের কাছেও স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

মামলার রায়ের পর আসামী পক্ষের আইনজীবী হযরত আলী বেলাল বলেন, 'ডাক্তারের রির্পোটে মৃত আবু সালাম মোল্লার গলায় শুধু দাগ ছিল যা আত্মহত্যা বলে রির্পোট দেয় ডাক্তার। সুতরাং আদালতের যে রায় ডাক্তারি রিপোর্টের সাথে তা সাংঘর্ষিক। আসামীপক্ষ উচ্চ আদালতে আবেদন করলে খালাস পাবেন। আসামী উচ্চ আদালতে আবেদন করার অধিকার রাখেন।'

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আবু সালাম মোল্লার হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালক। এই রায়ে আমরা খুশি ও সন্তুষ্ট। এই রায় এটাই প্রমাণ করে যে এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ আদালতে সঠিক ও ন্যায়বিচার পাচ্ছে।

এএস/সিবি/এডিবি/