ন্যাভিগেশন মেনু

দুর্ভোগের আরেক নাম তাড়াশ-খালখুলা সড়ক


সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ খালখুলা সড়কের অসংখ্য স্থানে ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বছরজুড়েই ছোটখাটো মেরামতের কাজ চললেও মিলছে না স্থায়ী প্রতিকার। এই সড়কটি দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক। সংস্কারের অভাবে সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তাড়াশ উপজেলার খুটিগাছা থেকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের খালখুলা বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক হলো সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়।

এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। এছাড়া ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন। কিন্তু সড়কটির সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকায় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল করাটা একেবারেই দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ সওজ, উল্লাপাড়া সড়ক উপ-বিভাগের,সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২০-২১ সালে সড়কের কিছু অংশে সংস্কার কাজ হয়। এ সড়কে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিটুমিন উঠে ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে পরিণত হয়েছে ছোট ছোট 'ডোবা'। বড় বড় গর্তে ইট ফেলে যানবাহন চলাচলের উপযোগীর চেষ্টা হলেও কিছুদিন পর আবারও সৃষ্টি হচ্ছে গর্তের।

অটোরিকশা চালক নাজমুল হোসেন বলেন, 'ইট সোলিং দিয়ে গর্ত ভরাট করলেও তেমন সুফল মিলে না। সামন্য বৃষ্টি হলেই গর্তে চাকা বসে যায়। তখন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।'

বাশবাড়িয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মাসুম আহম্মেদ বলেন, 'রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে সড়কে প্রায় মালবাহী ভারী ট্রাক আটকে যায়। ফলে অন্য যানবাহন চলাচল করতে না পেরে যানজটের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক বছর ধরে দেখছি রাস্তা ভাঙ্গা অংশে ইট বিছানো হচ্ছে। অথচ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।'

সিরাজগঞ্জ সওজ, উল্লাপাড়া সড়ক উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী,আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, 'ওই সাড়ে আটকিলোমিটার সড়কে দুপাশে থাকা বাজারের সমস্ত পানি গড়িয়ে সড়কে জমে। এ কারণেই সড়কটি মজবুত ও স্থায়ী হচ্ছেনা। তাড়াশ-খালখুলা সড়টি জেলা সড়কের আওতায় এজন্যই অবস্থা রকম। তবে জেলা উন্নয়ন প্রকল্পে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ১৮ ফুট করে সড়কটি মেরামত করা হবে।

এমএসএম/এডিবি/