ন্যাভিগেশন মেনু

নওগাঁয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হলেও সরবরাহ নেই অক্সিজেনের


নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে করোনা রোগীসহ অন্যান্য জরুরী রোগীদের জন্য অক্সিজেন প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হলেও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ফলে আগের মতোই সিলিন্ডার দিয়েই অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

এই হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ চালু হলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হবে।

এ অক্সিজেন সরবরাহের জন্য বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্সের কাজ চলমান রয়েছে। তবে শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে।

এদিকে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাব অনুমোদনের একমাস অতিবাহিত হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। আরও এক থেকে আরও দেড় মাস লাগতে পারে বলছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

হাসপাতালে করোনা টেস্ট করতে আসা কয়েকজন বলেন, নওগাঁয় করোনা আশঙ্খাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। আর অক্সিজেন করোনা রোগীর জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এ অবস্থায় অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হলে রোগীরা অনেকটা সুফল পাবেন। তাই দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের দাবি জানান নওগাঁবাসীরা।

নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও জেলার আরও সীমান্তবর্তী সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এসব প্রতিটি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্রে এক সাথে ৩০জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হবে।

ইতোমধ্যে বড় বড় সিলিন্ডারে ভরানো অক্সিজেন থেকে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

নওগাঁ সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল বারী জানান, আরটিপিসিআরের ৩টি যন্ত্রের মধ্যে ২টি বাংলাদেশেই আছে। আর ১টি আমেরিকা থেকে শিপে আসছে। ওই যন্ত্রটি দেশে আসার পর ৩টি যন্ত্র এক সাথে নওগাঁ হাসপাতালে পাঠানোর কথা রয়েছে। এসব আসার পর আগামী এক থেকে আরও দেড় মাসের মধ্যে আরটিপিসিআর চালু করা সম্ভব হবে।

বিএআর/সিবি/এডিবি/