ন্যাভিগেশন মেনু

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে :মেয়র তাপস


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছর যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহ প্রবাহে নর্দমা ছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে যায় ২০০৯ সালে। এজন্য দেখেছি গত বছর সেখানে বড় জলাবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে অত্র এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতর পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।


তিনি বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। কারণ যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি ২০২০ সালের আগে যেখানে অল্প বৃষ্টিতে ৭০ ভাগ ঢাকা প্লাবিত হয়ে যেত, এখন সেটা কমে এসেছে। আমরা পানি প্রবাহ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারছি। আমরা আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বাহিনী রেডি রাখি, যাতে করে কোথাও পানি জমে থাকলে দ্রুত সেটি সরানো যায়। সেই হিসেবে আজকে আমরা পান্থপথের বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কাজ শুরু করলাম।

তিনি বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পে আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেনদরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি।


মেয়র বলেন, বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে। আমরা একটি নান্দনিক উদ্যান ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানে বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।