ন্যাভিগেশন মেনু

পশ্চিমবঙ্গে অষ্টম দফা নির্বাচনে ৫৫ প্রার্থী কোটিপতি


পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৮৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৫ জন প্রার্থী কোটিপতি। এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে আট দফায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। ২৯ এপ্রিল রাজ্য অষ্টম দফা নির্বাচন হবে।

অষ্টম দফায় ৩৫টি কেন্দ্র ভোট‌ রয়েছে। ৩৫ কেন্দ্রে তৃণমূল বিজেপি সংযুক্ত মোর্চা-সহ অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আটদফা নির্বাচনে কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখিত তথ্যর ভিত্তিতে রিপোর্ট পেশ করে ইলেকশন ওয়াচ। এই রিপোর্টে প্রার্থীদের সম্পদ, শিক্ষা এই সবের হিসেবে দেওয়া হয়।

ইলেকশন ওয়াচের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, শেষ দফার ৫৫ জন প্রার্থী কোটিপতি। তৃণমূলের ৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জন কোটিপতি। বিজেপির রয়েছে ১২ জন। কংগ্রেসের পাঁচ জন এবং সিপিআইএমের একজন প্রার্থী রয়েছেন।

বিএসপি, এসইউসিআই ও নির্দলের প্রার্থীও কোটিপতি তালিকায় রয়েছেন। শেষ দফায় সব থেকে ধনী প্রার্থী রয়েছে বিজেপির। বীরভূমের নলহাটির বিজেপি প্রার্থী তাপসকুমার যাদব ওরফ আনন্দ যাদব সব থেকে ধনী প্রার্থী। তাঁর সম্পত্তি ৩৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বেশি।

নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দিয়ে প্রার্থী নিজে এই সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর পরে রয়েছেন উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তা। হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা।

অষ্টম দফায় কোটিপতির তালিকায় তৃতীয় নম্বরে রয়েছেন হাঁসনের তৃণমূল প্রার্থী ড‌‌. অশোককুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ কোটি টাকার বেশি।

গত পাঁচ বছরে তিনগুণ সম্পত্তি বেড়েছে তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল, স্বর্ণকমল সাহার। চৌরঙ্গির তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তার সম্পত্তি পরিমাণ দেখিয়েছিলেন প্রায় দু’কোটি টাকা।

এই পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে সাত কোটি টাকা। গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালির তৃণমূল প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ছ’ কোটি টাকা। এবার নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় তাঁর সম্পত্তি ১০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। পাঁচ বছরে প্রায় তিন কোটি টাকা সম্পত্তি বেড়েছে।

২০১৬ সালে বেলেঘাটায় শাসকদলের প্রার্থী পরেশ পালের সম্পত্তি ছিল এক কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে চার কোটি টাকা।

এস এস