ন্যাভিগেশন মেনু

পশ্চিমবঙ্গে নারদকাণ্ডে জামিনের ফের শুনানি বুধবার


পশ্চিমবঙ্গে নারদকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের চার নেতা ও মন্ত্রীর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানির সুরাহা না হওয়ায় ফের বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মে) প্রায় আড়াই ঘণ্টা কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি হয়।

এর ফলে আপাতত রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র এবং কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি অবস্থায়ই থাকতে হবে।

শুনানির আগে নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানায় সিবিআই। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। আর্জি খারিজের পরেই হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুরু হয় নারদ মামলার শুনানি।

বিচারপতিরা জানান, 'সাইক্লোন আছড়ে পড়লে আরও বিলম্বিত হবে প্রক্রিয়া। আমরা কেন শুনানি পিছিয়ে দেব।'

শুনানিতে গত সোমবার (১৭ মে) নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি থকে ঘটনাক্রম তুলে ধরা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, 'গত সোমবার সিবিআই অফিসের বাইরে বিশাল মানুষের জমায়েত হয়। যে কারণে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা যায়নি। দু'জন রাজ্যের মন্ত্রী আদালতে হাজির ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিবিআই অফিসে এসে বসেছিলেন। বাধ্য হয়ে সিবিআই ভার্চুয়ালি অভিযুক্তদের হাজির করার আবেদন করা হয়। সশরীরে কেস ডাইরি নিয়ে যেতে পারেননি। সিবিআই অফিসের বাইরে  ভয়ানক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ৪০৭ নম্বর ধারা অনুযায়ি স্থানান্তর করার আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। যেটা মেইল করে অর্থাৎ অনলাইনে এবং মৌখিক ভাবে আবেদন করা হয়েছিল।'

পাল্টা জবাবে চার নেতা-মন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, '১৭ তারিখ নিম্নআদালতে জামিন পাওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেলেন না। তাদের জামিন মুক্ত রাখা হবে কি-না, সেটাই এখন মেগা ইস্যু।' 

এ সময় তিনি জামিনের ওপর স্থগিতাদেশের মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের কথা শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করেন।

এর আগে গত শুক্রবার জেল হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে আপাতত গৃহবন্দি আছেন ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর শারিরীক অবস্থা খারাপ থাকায় হাসপাতালে আছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র।

এডিবি/