রংপুরের পীরগাছায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে নাবী পাট বীজ উৎপাদনের জন্য নাবী পাট চাষ শুরু হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তিনটি ব্লকের তিনটি গ্রুপে ৫০ শতাংশ জমিতে নাবী পাট বীজ উৎপাদন করার জন্য তিনটি প্রদর্শনী প্লট নির্ধারন করা হয়েছে।
নাবী পাট বীজ হিসেবে রবি পাট-১ জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। নাবী পাট বীজ উৎপাদনের জন্য প্রতিটি গ্রুপে কৃষক পর্যায়ে রবি পাট-১ এর বীজ দেড় কেজি, ইউরিয়া সার ৪০ কেজি, টিএসপি ৩০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, জীপসাম ৪০ কেজি ও অসস্টিন ১শ গ্রাম বিতরণ করা হয়েছে।
নাবী পাট বীজ প্রদর্শণী গ্রুপে ৫ জনসহ মোট ১৫ জন সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বীজ মাটিতে চাষ করার পর বর্তমানে নাবী পাট বীজে ফলন আসতে শুরু করেছে। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এই পাট বীজগুলো উত্তোলন করা হবে।
অন্নদাগর ব্লকের নাবী পাট বীজ চাষী শাহিন ও মাইদুল ইসলাম জানান, এই প্রথম তারা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের সহযোগিতায় ৫০ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল রবি পাট-১ জাতের চাষ শুরু করেছে। পাটের গাছ ও ফলন ভাল মনে হচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে বীজ উত্তোলন করা হবে তখন বুঝা যাবে এর ফলাফল কেমন। পাট বীজ উত্তোলনের সময় এই পাটগুলো কেটে আঁশ ছড়ানোর জন্য পানিতে পঁচানো যাবে।
অন্নদানগর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নাবী পাট বীজ উৎপাদন যাতে ভাল হয় এ জন্য নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।
কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, উপজেলায় পাট বীজের চাহিদা কিছুটা পূরণের জন্য তিনটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে বীজ উৎপাদন চাষ শুরু করেছি। প্রদর্শনী গ্রুপে থাকা ১৫ জন পাট চাষীকে রবি মৌসুমে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
এফআর/ ওয়াই এ/এডিবি
