ন্যাভিগেশন মেনু

বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকটা কমেছে


বগুড়ায় মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমেছে। পাশাপাশি হাসপাতালেও কমেছে রোগীর সংখ্যা। জেলায় করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

জেলার তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে তিনজন করোনায় এবং দুইজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

এছাড়া একইসময়ে জেলায় নতুন করে আরও ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

গতদিনের চেয়ে সংক্রমণ ৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৭ জন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহীন।

তিনি জানান, করোনায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে বগুড়ার একজন। তিনি হলেন সদরের রহিমা (৭৬)। এছাড়া বাকি দুইজন অন্য জেলার। নতুন একজন মারা যাওয়ায় জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬২৭ জন দাঁড়ালো।

ডা. তুহিন আরও জানান, মঙ্গলবার মোট ৩৪৩টি নমুনার ফলাফল এসেছে। এরমধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই হাসপাতালে ৪৫টি এন্টিজেন পরীক্ষায় ১০জন করোনা পজিটিভ এসেছে। বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৫টি নমুনায় আরও ৩জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে সদরে ৩০ জন, শাজাহানপুরের ৭ জন, কাহালুতে ৫ জন, সারিয়াকান্দিতে ২ জন, দুপচাঁচিয়া, নন্দীগ্রাম, ধুনট ও শেরপুরে একজন করে।

তিনি জানান, বগুড়া জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৪৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২৩২ জন এবং ৬৩৭ জন চিকিৎসাধীন।

এদিকে বগুড়ার করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালসহ আরও দুটি হাসপাতালে করোনা রোগী কমেছে। বর্তমানে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের ২৫০ শয্যার মধ্যে ১১২টি, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৫০ শয্যার মধ্যে ১১৫টি, বেসরকারি টিএমএসএস রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ২৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালে গত কয়েকদিনে রোগী ভর্তি কিছুটা কমেছে। তবে আইসিইউ খালি নেই।

এএসবি/এসএ/এডিবি/