ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এমপি মুজিব

"বাঁশখালী হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবার পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে"


চট্টগ্রাম ১৬ বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সিআইপি  বলেছেন, হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রতিজন রোগীর পূর্ণাঙ্গ সেবা পেতে হবে। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মচারীরা এ সেবা দিবেন। আর এই সেবার পরিবেশ আমি সৃষ্টি করবো। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার, রোগী সবার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার পরিবেশ লাগবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ম্যানুয়াল অনুসারে উপজেলা পরিষদ থেকে হাসপাতালে যে বরাদ্দ দেয়ার কথা সেগুলো কত পেয়েছি তা দেখতে হবে। পরিষদের ম্যানুয়েলে যা আছে তাই হিসেব করে হাসপাতালে দিতে হবে। গত ১০ বছরে পরিষদের কোন বরাদ্দ ঠিকমতো হাসপাতালে না দিলে তা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে সেগুলো দেখতে হবে। উপজেলার কোনো উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্থায়ী লোক থাকতে পারবে না। সরকারি নিয়মেই সব কাজ চলবে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে জোরালো ভূমিকা রাখছেন। আমাদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগগুলো সাধারন মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া। 

কমিটির সদস্য ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জরুরী বিভাগ মানেই জরুরী সেবা। এজন রোগীর জরুরী সেবা হচ্ছে কিনা সেটা দেখা দরকার। সেখানে কি কি জিনিস প্রয়োজন আছে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যা সংকট আছে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। 

কমিটির সদস্য ডা. ফররুখ আহমদ বলেন, রোগী সিরিয়াস রোগী আসলো সে অক্সিজেন পাচ্ছে কিনা দেখতে হবে। অক্সিজেন, নেবুলাইজার রাখতে হবে। কোন কিছু অপূর্নাঙ্গ থাকলে সেগুলো পূর্নাঙ্গ করতে হবে। ইসিজি মেশিন, রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে৷ হাসপাতালে যা সংকট থাকবে  সেগুলো এমপি সাহেব সমাধান করবেন। ডাক্তার ঠিকমতো উপস্থিত হচ্ছে কিনা সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। রোগী থাক বা না থাক চিকিৎসক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। 

বাঁশখালীর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, আমি যোগদানের পর হাসপাতালের প্রয়োজনে যা প্রয়োজন সেই চাহিদা দিচ্ছি। উপকূলীয় এলাকা বিবেচনা নিয়ে কোন স্টাফ যেন নাড়ানো না হয় সেজন্য চিঠি দিয়েছি। আবেদনবিদের অভাবে সিজার বন্ধ আছে। এটা পেলে প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করা যাবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়ে এমপি মহোদয় নিজস্ব উদ্যোগে আল্ট্রামেশিন দিয়েছে। এজন্য আমরা উনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট কাজ না হলেও চিকিৎসকরা অতিরিক্ত কাজ হিসেবে নিয়মিত আল্ট্রা করছে। 

হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এই চিকিৎসক বলেন, এক্সরে মেশিন অচল আছে। যে মেশিন সাপ্লাই দেয়া হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করেছি। এখনো সার্ভিস পাচ্ছি না। এই মেশিনের প্রিন্টার সমস্যা। হয় এটা ঠিক করতে হবে, নয়তো নতুন একটা লাগবে। এক্সরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এম্বুলেন্স প্রায়সময় নষ্ট থাকে। ইসিজি ২৪ ঘন্টা করা যায়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী থানার ও তদন্ত সুধাংশু শেখর হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, কমিটির সদস্য বাঁশখালী প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী, জমশেদ আলম সওদাগর, আরএমও ডা. রিয়াদ মারজুক প্রমুখ।