ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার : শিল্পমন্ত্রী


বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ রয়েছে বলে উল্লেখ করলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

সোমবার বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অধিক শক্তিশালী।  ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এটি ২০২১ সাল নাগাদ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজের অংশীদার। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে।

তাছাড়া দেশের শিল্পখাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে গভীর সমুদ্র বন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ হলে, বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে।

সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি বলেন, বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি চীনা জনশক্তি কাজ করছে। এর বিনিময়ে বাংলাদেশের সকল পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে।

বিসিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের ইকোনোমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর লিউ জেনহুয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এমআইআর / এস এস