মধুমাসে রসালো ফলের সমাহার রাজধানীর বাজারে
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতিতে এখন জ্যৈষ্ঠ মাস। আর এই জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় মধুমাস। রসালো ফলের মৌ-মৌ গন্ধে প্রকৃতি এখন উতলা। চারদিক এখন পাকা ফলের সৌরভ।এ মাসেই ফলের রাজা আম, জাতীয় ফল কাঁঠাল, জাম, লিচু, জামরুল, আনারস, পেয়ারা, কলা ছাড়াও এ মাসে মিলছে লটকন, বাঙ্গি, করমচা, আতা, তরমুজ, ফুটি, বেল, খেজুর, কাঁচা তাল, কাউফল, গোলাপজামসহ হরেক ফল। বাহারি স্বাদ আর রঙের ছোঁয়ায় বাঙালির এখন রসনাতৃপ্তির মৌসুম।বাহারি আর পুষ্টিকর সব ফলের প্রাচুর্য এই মৌসুমকে দিয়েছে মধুমাসের মহিমা। এসব পাকা ফলের মিষ্টি গন্ধ সহজেই মন কাড়ে। মাসের শেষ দিকে বাজারে দেখা মিলবে কামরাঙা, ছফেদা, গাব, আমড়া ইত্যাদি ফলের।ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে হরেক রকমের ফল নিয়ে বসেছে দোকানিরা। বেশ বিক্রিও হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমী ফলে দাম একটু বেশি। করোনার প্রভাবে পরিবহন ব্যবস্থায় বেঘাত সৃষ্টি হওয়ায় দাম একটু চড়া।রাজধানীর পল্টল ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় গুটি আম, গোবিন্দভোগ, হিমসাগর পাওয়া যাচ্ছে বৈশাখের শুরু থেকেই। এগুলো ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপেক্ষায় আছে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগের। আর এর পরই আসবে সে অঞ্চলের ফজলি আম। গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, রানীভোগ, ফজলি, আশ্বিনা ছাড়াও এখন বাংলাদেশে নতুন জাতের আম ফলছে। যেমন আম্রপালি, সোনালি, হাঁড়িভাঙ্গা, সূর্যপূরী, কাঁচামিঠা ইত্যাদি।বিক্রেতা রফিক আহমেদ জানান, বাজারে আম, লিচু, তরমুজ, ভাল বিক্রি হচ্ছে। গরমে মানুষ বেশি এ ফলগুলো কিনে খাচ্ছে। একই কথা জানান রিপন শেখ মিয়া নামে আরেক বিক্রেতা। লিচু, তরমুজ, তাল, জাম-জামরল, বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে।শহরের রাস্তার ধারে অথবা ভ্যানে করে এসব মৌসুম ফল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ফলের মধ্যে দেশি, বোম্বাই ও চায়না থ্রি ১০০ লিচু ২৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি তরমুজ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা পিস। তাল ১০ টাকা, ডাব ৫০ টাকা, বাঙ্গি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরম তাপদহ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ডাবের পানি খাচ্ছে।চিকিৎসকরা জানান, আমাদের দেশিয় মৌসুমী ফলের পুষ্টিগুণ...