ন্যাভিগেশন মেনু

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলা, পানিবন্ধি ৭ হাজার মানুষ


বাগেরহাটের মোংলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু ও কোমর পানি। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি সাত হাজারের বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।

টানা দু'দিনের প্রবল বর্ষণ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কারণে বন্দরে বিদেশি জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও খাল ডুবে থাকায় পানি নামার ব্যবস্থা নেই। প্রায় ৩-৪ ফুট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে ঘরবাড়ি। খাটের ওপরে পানি উঠে যাওয়ায় পৌরসভার পশু হাসপাতাল রোডের কয়েকশ মানুষ সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশু হাসপাতাল রোড ও কামারডাঙ্গা এলাকায়। এসব এলাকার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। পাশাপাশি পৌরসভার ৩, ৪, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে আছেন বলে জানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র শেখ আব্দুর রহমান।

এদিকে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এতো পরিমাণ বৃষ্টি এর আগে হয়নি। এবার খাটের ওপর পানি উঠেছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট পানির নিচে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পুরো পৌরসভা পানির নিচে। স্মরণকালের বৃষ্টিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গতের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। দ্রুত পানি সরানোর কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, বৃষ্টিতে উপজেলা তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সাত হাজার মানুষ। ভেসে গেছে এক হাজার ঘেরের চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ। যারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে পানিবন্দি লোকজন ও তলিয়ে যাওয়া ঘেরের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এমএস/সিবি/এডিবি/