ন্যাভিগেশন মেনু

ভোটে জেতার খবর শুনেই বিয়ের আসর ছেড়ে ভো দৌঁড়ে কনে হাজির গণনা কেন্দ্রে


ভোটে জেতার খবর শুনেই বিয়ের আসর ছেড়ে ভো দৌঁড়ে কনে হাজির গণনা কেন্দ্রে। অর্থাৎ  ‘বউ পালাল জানলা দিয়ে…।’ টুম্পা গানের এই লাইন এখন সকলের চেনা।

উত্তরপ্রদেশে বাস্তবে খানিকটা সেই দৃশ্যই যেন ধরা পড়ল। বিয়ের রাতে মণ্ডপ ছেড়ে চলে গেলেন! তবে কোনও প্রেমঘটিত কারণ কিংবা বিয়েতে অনিচ্ছার জন্য নয়। জয়ের সার্টিফিকেট নিতে দৌড় দিলেন কনে!

এমনই অবাক করা কাণ্ডের সাক্ষী  উত্তরপ্রদেশের রামপুরের মহম্মদপুর জাদিদ গ্রামে। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাবেন, ঠিক এমন সময় পাত্রী পুনম শর্মা জানতে পারেন, ক্ষেত্র পঞ্চায়েত ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন।

জয়ী হিসেবে সার্টিফিকেট পাবেন তিনি। বাঁধ ভাঙা আনন্দে পুনম তখন ভুলেই গিয়েছেন নিজের বিয়ের কথা। থাক পড়ে মণ্ডপ, অপেক্ষা করুক বর। বিয়ের লেহঙ্গা পরেই কনের বেশে সোজা গণানা কেন্দ্রে পৌঁছে গেলেন তিনি। জয়ের প্রশংসাপত্রের থেকে তখন তাঁর কাছে মূল্যবান যেন আর কিছুই নয়।

 রবিবার বিয়ে আসর বসেছিল পুনমের। কিন্তু তার আগেই তিনি ধরেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই নিশ্চিন্তেই হাতে মেহেন্দি, গায়ে গয়না ও লেহঙ্গা চাপিয়ে কনের বেশে অনন্যা হয়ে উঠেছিলেন।

কিন্তু মালাবদলের ঠিক আগেই সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই আসে টুইস্ট। ৬০১ ভোটে জয়ের খবর পৌঁছায় তাঁর কানে। ভোটবাক্সে গ্রামবাসীর ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত পুনম। এক মুহূর্ত দেরি না করেই পৌঁছে যান গণনা কেন্দ্রে।

সংগ্রহ করেন জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্যের প্রশংসাপত্রটি। পুনমকে দেখে রীতিমতো হকচকিয়েই যান গণনা কেন্দ্রের লোকজন। তারপর তাঁর হাতে তুলে দেন সার্টিফিকেট। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।

তাঁর এই উচ্ছ্বাস দেখে অনেকেই বলছেন, যিনি শংসাপত্র পেতে মণ্ডপ ছেড়ে দৌড়ে আসতে পারেন, তিনি গ্রামের সেবাও ঠিক এতটাই মন দিয়ে করবেন। কোনও বাঁধাই বাধা হতে পারবে না। সত্যিই, ধন্যি মেয়ে বটে!

এস এস