ন্যাভিগেশন মেনু

মর্গে মরদেহ ধর্ষণ: সেই মুন্নার দায় স্বীকার


হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃত নারীদের  ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সৎকারকর্মী মুন্না ভগত (২০)। 

ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

রবিবার (৩১ জানুয়ারি) তেজগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আফসানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রিমান্ড শেষে মুন্নাকে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। বিচারক তা রেকর্ড করার আদেশ দেন। এরপর রবিবার বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই মামলায় মুন্নাকে ২ দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। সোমবার মুন্নাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। ২ মামলায় আসামি মুন্নাকে ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান তিনি।

মর্গে মৃত নারীদের মরদেহ ধর্ষণের ঘটনায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে মুন্নার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই সনজিৎ কুমার ঘোষ বাদী মুন্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

এদিন মুন্না স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মুন্নার জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে মুন্না ভগতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ওআ/