ন্যাভিগেশন মেনু

মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল উদ্বোধন


রাজধানীর মহাখালীতে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালটি উদ্বোধন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালটি আর্ম ফোর্সেস ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। আর এটির সার্বিক সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হাসপাতালটি করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের ছয় তলা বিশিষ্ট এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে। এতোদিন এখানে করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এখন করোনা হাসপাতালে পাশাপাশি পৃথকভাবে ওই সেবাগুলোও চালু থাকবে।

এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইসডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া এখানে রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের এই হাসপাতালে ১২শ'র বেশি শয্যা স্থাপনের সক্ষমতা আছে। তবে আজ থেকে আংশিকভাবে ২৫০ শয্যা চালু করা হবে। এর মধ্যে ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি শয্যা জরুরি রোগীদের জন্য এবং ১৫০টি সাধারণ শয্যা। সাধারণ শয্যা হলো কোভিড আইসোলেশন রুম। এই রুমগুলোতে আপাতত একজন করে রোগী রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সাতদিনের মধ্যে ৫০০ শয্যা চালু করতে পারবো। বাকী শয্যাগুলো আশা করছি এ মাসের মধ্যেই চালু করতে পারবো।’

এরইমধ্যে ১৫০ জন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করেছেন, নার্স যোগদান করেছেন ২০০ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যোগদান করেছেন ৩০০ জনের মতো। এছাড়া এই হাসপাতালে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ কর্মীরা সহযোগিতা করছে।

এডিবি/