ন্যাভিগেশন মেনু

মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, এএসপিসহ ৩ পুলিশ আটক


দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রংপুরের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ মাইল নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন - সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগীদের স্বজন ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ২৩ আগস্ট আনুমানিক রাত ৯টায় চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মারপিট করে মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়।

জহুরা বেগমের বাড়ির লোকজন র‍্যাব, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় আটকের বিষয়ে খোঁজ নেয়। কিন্তু কেউ আটকের বিষয়ে কিছু বলতে পারে না। পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে জহুরা বেগমের স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজানের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

মঙ্গলবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সামনে স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধারে মুক্তিপণের টাকা দিতে যায় স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজান আলী। তাদের সাথে সিভিল পোশাকে পুলিশ রয়েছে টের পেয়ে অপহরণকারীরা সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ১০ মাইল নামক স্থানে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

অভিযানে জেলা পুলিশ ও চিরিরবন্দর থানার পুলিশ অংশ নেয়।

আটকের পর পুলিশ জানতে পারে অপহরণকারীদের মধ্যে রংপুর সিআইডি জোনের এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল রয়েছে। তাদেরকে দিনাজপুর ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে।

অপহৃত মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকেও ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।

ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, আটকদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

এএস/এসএ/এডিবি/