ন্যাভিগেশন মেনু

মৌলভীবাজারে মানুষের চলাচলে রিকশাই ভরসা


করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সাতদিনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, সরকারি বেসরকারি অফিস-আদালত। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ছাড়া সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন অবস্থায় ফাঁকা সড়কে রাজত্ব করছে রিকশা। জরুরি প্রয়োজনে মৌলভীবাজারবাসীর কাছে এখন একমাত্র ভরসার পরিবহন রিকশা।

শহর ঘুরে দেখা যায়, চলমান লকডাউনের দ্বিতীয়দিনেও সকাল থেকে কিছু মানুষ বাসা থেকে বের হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্টে জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। অতি জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় এসে যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এইসব সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। অনেকে আবার রিকশায় চড়তে দেখা গেছে।

মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক শফিক মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, 'গতকাল (১ জুলাই) থেকে আজ (২ জুলাই) যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঘর থেকে বের না হতে সরকার বলছে, কিন্তু ঘর থেকে বের না হলে পেটে ভাত দিবো কি করে? গ্যারেজ থেকে ভোরবেলায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। রিকশা ভাড়া দিতে হবে ৬০ টাকা কিন্তু দুপুর হয়ে গেছে ৯০ টাকা রোজগার হয়েছে। অন্যদিন এই সময় ২৫০-৩০০ টাকা রোজগার হতো।'

নিতাই নামের আরেক রিকশাচালক বলেন, 'পরিবারে বাবা মা ও ছোট দুই বোন রয়েছেন, তার উপার্জনেই সংসার চলে। রিকশার চাকা না ঘুরলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, তাই সকালে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আয় করেছেন ৪০ টাকা। রিকশা গ্যারেজে ভাড়া দিতে হয়েছে ৬০ টাকা।'

শহরের টিসি মার্কেট কাঁচাবাজার থেকে আসা কয়েকজন জানান, লকডাউনে কাঁচাবাজারে সবকিছুর দাম কিছুটা চড়া। যা দাম বলছে তা দিয়েই সবজি কিনতে হচ্ছে। সুযোগ নেই দরদাম করার। তার উপর রিকশা ভাড়াও বেশি, তাই পায়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছেন তারা।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় জানান, সিএনজি ও টমটমসহ ছোট সব গাড়ি বন্ধ। শহরের বাহির থেকে হাসপাতালে রোগীকে দেখতে আসার জন্য রিকশাই এখন একমাত্র ভরসা। সে জন্য রিকশা নিয়ে হাসপাতাল যাচ্ছেন।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান জানান, মৌলভীবাজার শহরে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এবং সরকারের বিধিনিষেধ পালনে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে শহরে তিনটি টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।

পিডি/এমআইআর/এডিবি/