ন্যাভিগেশন মেনু

রাজশাহীতে নৈশপ্রহরী হত্যায় গ্রেপ্তার ৪


রাজশাহীতে নৈশপ্রহরী আনিসুর রহমাকে (৭০) হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি  নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ৪ আসামি হলো - মাহাফুজ মোল্লা (৪৯), মো. আকিজার মোল্লা (৩৩), আবুল হোসেন (৫০) ও রুমন আলী (২৪)।

তাদের মধ্যে মাহফুজ ও আকিজারকে নড়াইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পর্কে তারা সৎভাই। মাহাফুজ দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীতে থাকে। তাদের পেশা হলো চুরি, ছিনতাই আর ডাকাতি।

গত রবিবার (২৯ আগস্ট) রাতে মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে আনিসুর রহমানকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর সেখান থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম কিরণ বাদি হয়ে শাহ মখদুম থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্তে উঠে এসেছে, অটোরিকশা চুরির জন্যই নৈশপ্রহরী আনিসুর রহমানকে হত্যা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, মামলার পরপরই তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মখদুম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হারেছ এই 'ক্লুলেস' হত্যার আসামি গ্রেপ্তার, রহস্য উদঘাটন ও চুরি যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এরপর মূল আসামি মাহাফুজকে নড়াইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহাফুজের দেওয়া তথ্যমতে আকিজার মোল্লা, রুমন আলী ও আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আকিজার মোল্লার কাছ থেকে চুরি হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মাহাফুজ। আনিসুরকে হত্যার পর তিনি অটোরিকশা নিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় চলে যান। সেখানে সৎভাই আকিজার ও প্রতিবেশী রবিউলকে অটোরিকশাটি বিক্রির জন্য দেন।

ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামি মাহাফুজ মোল্লা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সব আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাহাফুজের প্রতিবেশী রবিউলের এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

সিবি/এডিবি/